Long Covid And Human Body : করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই জানানো হয়েছিল যাদের মধ্যে প্রেসার, ব্লাড সুগার, কিডনি কিংবা হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু বেশি সতর্ক থাকা উচিত। যেহেতু ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট একরকম সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে, তার সঙ্গেই দীর্ঘ কোভিড থেকেও মানুষের জীবনযাত্রা জর্জরিত। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও যেন রেহাই নেই। তবে শরীর বুঝেই লং কোভিড জায়গা নিচ্ছে এবং কাদের মধ্যে এই উপসর্গ বেশি?
চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন?
তাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ যারা দীর্ঘদিন এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা কিন্তু কম করে একমাস অথবা দুমাস ক্রনিক ভাবে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। একদম শুরুর দিকেও যারা আক্রান্ত হন তাদের মধ্যেও কিন্তু এই ধরনের লক্ষণ বেশ দিন কয়েক আগে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। এবং এমনও দেখা গিয়েছে যারা একদম প্রথম পর্যায়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে খুব একটা গুরুতর আকারে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি এবং তারাই জানিয়েছেন লক্ষণগুলি সেইভাবে রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল না।
গবেষকরা কী বলছেন?
কোভিড রোগীকে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেইভাবে কিছুই বোঝা সম্ভব নয়। তবে যারা সহ রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে দুই তিনটি গ্রুপে যখন ভাগ করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যকর নিয়ন্ত্রণ এবং সোয়াব পরীক্ষা করেই তুলনা মূলক সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে। যে ধরনের উপসর্গগুলো একজন মানুষের শরীরে কোভিড পরবর্তীতে দেখা গেছে তাদের একত্র করে সিদ্ধান্তে আসা গেছে, ফুসফুসের রোগী এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সবথেকে বেশি দীর্ঘ কোভিড স্থান নিয়ে থাকে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিশেষ করে এই দুই ধরনের রোগীর মধ্যে বেশি অথবা অত্যধিক মাত্রায় ক্লান্তি, খাবারের ইচ্ছে হ্রাস পাওয়া এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাশির লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। অন্যদের শরীরে বেশিরভাগ সময় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা এবং রাত বিরেতে ঘেমে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে।
ফলাফল বলছে, উপসর্গ শরীরের বিভিন্ন প্রোফাইলের সঙ্গে যুক্ত। এবং ভাইরাসের এই প্রভাব সেটিকে পুনঃ সক্রিয়তার দিকে চলাচল করতে পারে। বিশেষ করে যখন জেনোম সিকোয়েন্স ধার্য করা হয় তখন S জেনেটিক ড্রপলেট দীর্ঘ কোভিড থেকে ইঙ্গিত দিতে পারে। বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অ্যান্টিবডি টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং লাংস রোগীদের ক্ষেত্রে একেবারেই কাজ করে না, দেখা গেছে এদের মধ্যেই মাঝে সাজে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তার কারণ এদের শরীরে হরমোন কর্টিসল কম ছিল। সঙ্গেই আরও জানা যাচ্ছে স্নায়ুর সমস্যা রয়েছে যাদের তাদের শরীরেও দুর্বলতা গ্রাস করছে প্রচুর। ডায়াবেটিস রোগীদের কাশি বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই! এই পরবর্তী সময়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিত এই রোগীদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন