গত জুনে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়। এনসিপি সিনিয়র নেতা অজিত পাওয়ার কিছু দলীয় বিধায়ক, সাংসদ এবং পদাধিকারীদের নিয়ে শিন্দে-ফড়নবিস সরকারে যোগদান করেন। অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহের পরে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে বিভাজন স্পষ্টতই চোখে পড়ে। উভয় পক্ষের নেতারা একে অপরের কঠোর সমালোচনা করছেন। এদিকে আজ একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, "রাজ্যে বিজেপির সব সময়ের জন্য নেতৃত্ব দেওয়া উচিত"। এই মন্তব্যের পর ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারে অজিত পাওয়ার শিবির স্বভাবতই বিরক্ত এবং এখন এ নিয়ে এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এ নিয়ে রাজ্যের অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী এবং ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘রাজ্যের ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় এসেছে মাত্র তিন মাস হয়েছে। তাদের হানিমুন এখনও শেষ হয়নি এবং এর মাঝেই নানান ধরণের খবর আসতে শুরু করেছে।
সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, "ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার চালু হওয়ার মাত্র তিন মাস হয়েছে, এবং আজ সকালে একটি খবর এসেছে যে একটি গোষ্ঠী অপর শিবিরের মন্তব্যে বিরক্ত।"আপনার সরকার মাত্র তিন মাস হল। আপনার হানিমুন এখনও শেষ হয়নি এবং আপনার বিরক্তি কীভাবে আসে ? তিন মাসের মধ্যেই এত বিরক্তি? সরকার চালাচ্ছে কারা?”
কর্মীদের উদ্দেশে দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, “বিজেপি সর্বদা মহারাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। শিবসেনা, এনসিপি আমাদের সঙ্গে থাকলেও রাজ্যে বিজেপির রাশ হাতে রাখা উচিত”। ফড়নবীশের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের মিত্রদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে? নয় বছর দিল্লিতে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ফড়নবীসের বক্তব্যে আমি বিস্মিত হইনি। কিন্তু, যারা এটা জানেন না তাদের আর আমি কী বলতে পারি”।