ফিরোজ আহমেদ: ভাঙড় আন্দোলনের নেতা অলীক চক্রবর্তীকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সকালে তাঁকে বারুইপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অলীককে। তাঁর অসুস্থতা ক্যানসার কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
এদিকে আজই জেলের বাইরে এলেন ভাঙড় আন্দোলনের জেরে গ্রেফতার হওয়া তরুণ চিকিৎসক রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায়। অলীকের গ্রেফতারির পরে পরেই মুক্তি পেয়ে গেলেন চার দ্বিতীয় সারির নেতা। গতকাল মুক্ত হন অমিতাভ ভট্টাচার্য, শংকর দাস এবং বিশ্বজিৎ হাজরা।
জামিনে মুক্ত ভাঙড় আন্দোলনে যুক্ত চিকিৎসক রাতুল (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
শুক্রবার ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড় আন্দোলনের অন্যতম নেতা অলীক চক্রবর্তীকে। সিপিআইএমএল রেড স্টারের এই নেতা চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন। নকশাল নেতা অলীককে চার দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসে বারুইপুর জেলা পুলিশ। গতকাল বারুইপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, Bhangar Update: পুলিশ হেফাজতে অলীক, জামিন চার আন্দোলনকারীর
অলীকের গ্রেফতারিতে আন্দোলন কিছুটা যে ধাক্কা খেয়েছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভাঙড়ের জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘চার নেতার মুক্তিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল হবে।’’ তবে এখনই যে ভাঙড়ে জোরদার আন্দোলন শুরু করা অসুবিধে, তার ইঙ্গিতও মিলেছে। ‘‘রমজান মাস হওয়ায় প্রতিপক্ষ বেশ কিছুটা সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে,’’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে বলেছেন মির্জা।
অলীকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার শহর কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছে ভাঙড় সংহতি কমিটি। এদিকে জমি কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আজ থেকেই ভাঙড়ের সব গ্রামে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হবে। আজ সন্ধে সাতটা থেকে আধ ঘণ্টার জন্যে নিষ্প্রদীপ রাখা হবে গ্রাম।
অলীকের গ্রেফতারির পর ভাঙড় আন্দোলন কোন দিকে যায়, সে দিকে তাকিয়ে আছেন অনেকই। সিপিআইএমএল রেড স্টারের এই নেতার গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয়।