রামপুরহাট কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বুধবার সকালে আতঙ্কের বগটুই গ্রামে গেল সিপিএমের প্রতিনিধি দল। নয়া রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বগটুই গ্রামে পৌঁছয় সকালে। সেখানে প্রথমে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সেলিমরা। গ্রামবাসীদের একাংশ গ্রামে ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরাই বাধা দিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সোমবার রাতের নৃশংস অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে খালি হয়েছে বগটুই গ্রাম। নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবারও গ্রাম ছেড়েছেন বলে খবর। সোমবার রাতে কী হয়েছিল, কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। আতঙ্ক গ্রাম ছাড়ছে বহু পরিবার। ইতিমধ্যেই পুরুষশূন্য হয়ে গেছে গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে ঝলসে যাওয়া দেহগুলি সমাধিস্থ করা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যেই এদিন সকালে বগটুই গ্রামে গেলেন সেলিমরা।
এদিকে, বগটুইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বঙ্গ বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপির পরিষদীয় দলের ৫৫ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বাসে চেপে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, "কোনও সভ্য দেশে, গণতান্ত্রিক সমাজে এই নৃশংস মধ্যযুগীয় গণহত্যা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রমাণ লোপাটে নেমেছে। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করা হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমরা যাচ্ছি। প্রশাসন যদি আমাদের ঢুকতে বাধা দেয় তাহলে আমরা সেখানেই দাঁড়িয়ে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করব।"
আরও পড়ুন বাবরের পর খুন ভাদু, আতঙ্কের বগটুই গ্রাম ছাড়ল নিহত তৃণমূল নেতার পরিবার
আবার শোনা যাচ্ছে, বিজেপি নেত্রী ভারতীয় ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বগটুই গ্রামে যেতে পারে। এদিকে, বগটুই গ্রামে কড়া পাহারা মোতায়েন করেছে পুলিশ। পুলিশি ঘেরাটোপ এড়িয়ে বিজেপির প্রতিনিধিরা গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।