Advertisment

হাঁসখালিকাণ্ড: 'ডাক্তার দেখানো হয়নি, মেয়েটিকে বাঁশে বেঁধে বাইরের লোকজন শ্মশানে নিয়ে যায়', বিস্ফোরক BJP নেত্রী

হাঁসখালিতে নাবালিকাকে 'ধর্ষণ' করে 'খুন'-এর ঘটনা সম্পর্কে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে জেপি নাড্ডার কাছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BJP's fact finding committee is going to Nadias Hanskhali Updates

হাঁসখালিতে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।

হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বিজেপির তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের। তারপরেই বিস্ফোরক ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এদিন বিদেপির যে প্রতিনিধি দল হাঁসখালিতে গিয়েছিল শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীও সেই দলেরই সদস্য। এদিন তিনি বলেন, ''চিকিৎসক দেখানো হয়নি, মেয়েটিকে বাঁশে বেঁধে বাইরের লোকজন শ্মশানে নিয়ে যায়।''

Advertisment

এদিন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন এবং বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর। এদিন সকালেই দলটি হাঁসখালিতে পৌঁছোয়।

এদিন বিজেপির প্রনিতিধি দলের সদস্যদের সামনে গোটা ঘটনা আরও একবার খুলে বলেছেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ির লোকজন। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। কিশোরীর মৃত্যুর পর যে শ্মশানে তড়িঘড়ি তার দেহ দাহ করা হয়েছিল এদিন সেই শ্মশানটিতেও গিয়েছিলেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। অভিযোগ, ওই শ্মশানেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ''মেয়েটিকে ওঁর পরিবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে ওদের বাড়ি ঘিরে অনেক লোকজন ছিল। ওঁরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। পরে বাইরের কিছু লোকজন এসে মেয়েটিকে বাঁশে বেঁধে ফেলে কাপড়ে মুড়ে নিয়ে য়ায় শ্মশানে।''

শুক্রবার বিজেপির প্রতিনিধি দল আসার আগে থেকেই হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে ছিল স্থানীয়দের ভিড়। পরে বিজেপির প্রতিনিধিরা গ্রামে পৌঁছতেই সেই ভিড় আরও বাড়ে। বিজেপি প্রতিনিধিরা এদিন স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন। হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে এব্যাপারে একটি রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি। এর আগে রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার ক্ষেত্রেও একইভাবে এই তথ্য অনুসন্ধান কমিটি পাঠিয়েছিলেন নাড্ডা।

সাম্প্রতিক সময়ে অপ্রীতিকর পরপর কয়েকটি ঘটনার জেরে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারিরও দাবি তুলেছে বিজেপি। রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- প্রসঙ্গ হাঁসখালি: সৌগত রায়ের সঙ্গে দ্বিমত শতাব্দীর, ‘মুখ্যমন্ত্রী আর কী করবেন’- প্রশ্ন কুণালের

তথ্য অনুসন্ধানের জন্য তৈরি সেই কমিটি বগটুই ঘুরে গিয়েছিল। কমিটির সদস্যরা কথা বলেছিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। পরে একটি রিপোর্ট তাঁরা জমা দেন নাড্ডাকে। একইভাবে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে 'খুনের' ঘটনার ক্ষেত্রেও তথ্য অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করে দেন নাড্ডা।

bjp cbi West Bengal Hanskhali Rape
Advertisment