লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বুধবার বিল পাসের সেই আনন্দে রাতেই কলকাতার বিজেপির রাজ্য সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনে উদযাপিত হল অকাল দীপাবলি। রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে বাজি ফাটিয়ে, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সংসদের উচ্চকক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হতেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে শুরু হয় বাজি প্রদর্শনের উৎসব। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে মোদী-অমিত শাহের নামে স্লোগান।
বিজেপির সদর দফতরের সামনে বাজি ফাটিয়ে উৎসবে মাতলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা pic.twitter.com/22Ko0asx5y
— IE Bangla (@ieBangla) December 12, 2019
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের গলায় পাক সুর, মুসলিমদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, বরাভয় অমিত শাহের
কলকাতায় এমন 'অকাল দীপাবলি' পালনের মাঝে বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে আতঙ্কিত করেছেন, বিভ্রান্ত করেছেন, ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু এখন এই বিল আইনে পরিণত হলেই বোঝা যাবে শরণার্থীদের কোনও অসুবিধাই হবে না। ওনারা নিজেদের মতো করে মাথা উঁচু করে, আত্মসম্মানের সঙ্গে বাস করবেন এই দেশে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিমদের তোয়াজের যে রাজনীতি তা ধ্বংস হবে।" কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বাজি ফাটিয়ে ক্যাব পাসের আনন্দ ভাগ করে নেন বিজয়বর্গীয়। পাশাপাশি আসামের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আসামেও মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সেখানকার মানুষকেও বিষয়টি যথাযথভাবে বোঝানো হবে। রাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষাকে সংরক্ষিত রাখা হবে এবং ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিকে সর্বত্তমভাবে পালন করা হবে।"
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে কী বললেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়? pic.twitter.com/4HO68xcN0q
— IE Bangla (@ieBangla) December 12, 2019
আরও পড়ুন: ক্যাব বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্ব, ত্রিপুরায় নামল সেনা, গুয়াহাটিতে কার্ফু জারি
'ক্যাব' পাসের আনন্দে মোদী-শাহের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে চলল বিজেপির 'অকাল দীপাবলি' পালন pic.twitter.com/3Rd2V50yoz
— IE Bangla (@ieBangla) December 12, 2019
বুধবার ১২৫ টি পক্ষে এবং ৯৯টি বিপক্ষের ভোট নিয়ে রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এরপরেই উত্তপ্ত হয় আসাম-ত্রিপুরা। ক্যাবের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলিতে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত গুয়াহাটিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আসাম ও ত্রিপুরায় সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে। এমনকী সেখানকার পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক সে কথা মেনে নিয়েছেন বিজেপি সাংসদেরা। গুয়াহাটির সাংসদ তথা বিজেপি নেতা কুইন ওঝা বলেন, “অবস্থা ভালো নয়। আগামীতে কী হতে চলেছে আমার জানা নেই। ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিলটি নিয়ে। মানুষকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। তা নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”