বাবুল সুপ্রিয়কে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী শপথের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শপথ বাক্য পাঠ করালেন আশিসবাবুই। আর সেই অনুষ্ঠানেই জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন তিনি।
কী অভিযোগ?
বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর পরই রাজ্যেপালকে নিশানা করেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'স্পিকার আমাকে অনুরোধ করেছিলেন শপথ গ্রহণ করানোর জন্য। আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। তাই আমি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে নতুন বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে হয়েছে। রাজ্যপাল আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি আমরা সবাই এক। এক হয়েই কাজ করব।'
১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এরপরই তাঁর শপথগ্রহণ নিয়ে জলঘোলা হয়। পদাধিকার বলে বিধায়কদের শপথগ্রহণের অধিকারী রাজ্যপাল। কিন্তু, স্পিকার জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীকে বিধায়ক হিসাবে শপথের আর্জি জানালে শুরুতে তা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পরিষদীয় দফতের তরফেও রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তখন, রাজ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছিল যে, নবান্নের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের জানতে চাওয়া একাধিক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। সেসবের আগে সমাধান প্রয়োজন।
এই বিতর্কের মাঝেই রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারআশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ১৮৮ ধারার উল্লেখ করেন তিনি।
যদিও বেঁকে বসেন ডেপুটি স্পিকার। বিধানসভার স্পিকারকে এড়িয়ে তিনি বাবুলকে শপথগ্রহণ করাতে পারবেন না বলে জানান আশিসবাবু। চিঠি দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে থমকে যায় বালিগঞ্জের জয়ী প্রার্থীর বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের বিষয়টি। এই নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নানা চর্চা হয়।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাবুল সুপ্রিয়কে বিধানসভার সদস্য হিসাবে শপথ বাক্য পাঠ করান। সেই সঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে 'বিভেদ কৌশল' সংক্রান্ত তোপ দাগেন।