আগামী ৯ অগাস্ট রাজ্যসভায় নির্বাচন হবে। দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করায় বাংলা থেকে একটি আসনে ভোট হবে। সেই আসনে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। নাম উঠে আসছিল যশবন্ত সিনহা, মুকুল রায়ের। তবে এঁদের কাউকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে না তৃণমূল। শনিবার রাজ্যসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করল রাজ্যের শাসক দল। এবার রাজ্যসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার। দলের টুইটার হ্যান্ডলার থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisment
তৃণমূলের তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, 'আমরা আনন্দের সঙ্গে জহর সরকারকে সংসদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী মনোনয়ন করছি। জনসেবায় জহর সরকারের ৪২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তিনি প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও। জনসেবায় তাঁর মূল্যবান অবদান দেশ দেশসেবায় আরও সহায়তা করবে।'
প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই জহর সরকার সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'আমার কাছে এটা অবিশ্বাস্য। আমি ৪২ বছর সরকারি চাকরি করেছি। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনও নই। কিন্তু আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আমি কৃতজ্ঞ। সাংসদ নির্বাচিত হলে দেশের সামনে তুলে ধরতে পারবো মোদী সরকার ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে ভাঁওতা দিচ্ছে।'
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধের মাঝে মমতা সরকারের সমর্থনেই সরব ছিলেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও। তীব্র সমালোচনা করেন মোদী সরকারের পদক্ষেপের। এছাড়া, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন এই আইএএস অফিসারের সম্পর্ক মধুর। এবার তাই কেন্দ্রীয় প্রশাসনে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জহর সরকারকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মোদী বিরোধিতা আরও পোক্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
গত ১৬ জুলাই রাজ্যসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন আগামী ২৯ জুলাই। ভোটগ্রহণ হবে ৯ অগাস্ট। তবে মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে কবে ভোট, তা এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন