বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাসে কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থন চাইল মমতার সরকার। মঙ্গলবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সমর্থনের আবেদন জানান।
সিএএ সংবিধান বিরোধী। এই দাবি করে আগেই বাম পরিচালিত কেরালা বিধানসভায় পাস হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবনা। শাসক-বিরোধী শিবির একযোগে এই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করেছে। তারপর কংগ্রেসের ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং পরিচালিত পাঞ্জাব বিধানসভাতেও পাস হয়েছে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা। আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা পাসে মরিয়া বাংলার তৃণমূল সরকারও।
আরও পড়ুন: মমতার বড় পদক্ষেপ, সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আসছে বঙ্গ বিধানসভায়
কেরালার পথ অনুসরণ করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশের দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। কিন্তু, রাজ্যের দুই বিরোধী দলের এই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। সে সময় শাসকদলের পক্ষে থেকে জানানো হয় যে, আগেই এ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ হয়েছে বিধানসভায়। তাই নতুন করে এই প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তা নেই। মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম-কংগ্রেস। মোদী সরকারের তৈরি ওই আইনের বিরুদ্ধে আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা আন্তরিক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
আরও পড়ুন: মমতার সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে অজয় দেবগন-কাজলের প্রসঙ্গ টানলেন সায়ন্তন, সন্দিহান বাম-কংগ্রেস
এরপরই গত সোমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী সিএএ ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান। কেরালা, পাঞ্জাবের পথে হেঁটেই আগামী সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব এবার বিধানসভায় আনতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় এই ধরনের প্রস্তাব পেশকে 'অসাংবিধানিক' বলে দাবি করেছে পদ্ম বাহিনী।
Read the full story in English