বিজেপি নয়, সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে ‘গোপন বোঝাপড়া’ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই! শুক্রবার এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মমতারই একদা সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন বারাসতে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, উনি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাহলে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করে চলেছেন’’।
আরও পড়ুন: শোভনকে ‘ধাক্কা’ তৃণমূলের! বড় দায়িত্ব পেলেন রত্না
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়ে লড়ছে। পঞ্চায়েত, লোকসভা নির্বাচনেও একসঙ্গে জোট বেঁধেছিল। আবারও তাই করছে’’। এ প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির এক নেতা বলছেন বাংলায় ২০০ আসন দরকার, তাহলে ৯৪টি আসন কি সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা?’’ বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ‘জগাই-মাধাই-গদাই’ বলেও কটাক্ষ করেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে এদিন মমতাকে নিশানা করলেন মুকুল।
আরও পড়ুন: ‘সারাক্ষণ ঝগড়া করছে!’ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে রাগে অগ্নিশর্মা মমতা
6, 2020
(ভিডিও- উৎসব মণ্ডল)
আরও পড়ুন: মঞ্চে মমতা, দর্শকাসনে বসে ‘জল মাপলেন’ পিকে
অন্যদিকে, পুরভোট প্রসঙ্গে এদিন মুকুল রায় বলেন, নির্বাচন কবে হবে, সেটা শাসক দল জানে। ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার মালিক রাজ্য সরকার। বিজেপি প্রস্তুত। যেদিনই ভোট হবে, সেদিনই মানুষের মুখোমুখি হবে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোটই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি’’।
এরপরই মমতা সরকারকে নিশানা করে মুকুল বলেন, ‘‘শাসকদলের জন্য কোনও আইনই নেই, সব আইন বিরোধীদের জন্য। রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ রাজ চলছে’’। একইসঙ্গে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, ‘‘উনিশে সেমিফাইনাল খেলেছি, ১৮টা আসনে জিতেছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই সরকারের বিদায় হবে। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন