Advertisment

আপের নজরে হরিয়ানা, কান্ডারি সম্ভবত জাঁদরেল আইএস অফিসার

২০২৪ সালে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট রয়েছে। আপাতত সেই ভোটেই লাভের গুড় ঝোলায় ভরতে মরিয়া কেজরিওয়াল বাহিনী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
After Punjab AAP all set to venture into Haryana for 2024 assambly poll

হরিয়ানায় কেজরির বাজি কে?

দিল্লি বিজয়ের পর পাঞ্জাব দখলও সম্পন্ন। গোয়ায় মিলিছে দু'টি আসন। সাফল্যের জোয়ারে আম আদমি পার্টি। এবার ঝাড়ুর নজরে হরিয়ানা। ২০২৪ সালে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট রয়েছে। আপাতত সেই ভোটেই লাভের গুড় ঝোলায় ভরতে মরিয়া কেজরিওয়াল বাহিনী। শুরু হয়ে গিয়েছে রোড-ম্যাপ তৈরির কাজও। ৯০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার সব বুথে কর্মীদের নিয়ে সংগঠন তৈরির কাজ করছে আপ।

Advertisment

পাঞ্জাবে ঝুাড়ু হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভগবন্ত মান। তিনিই সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। আর হরিয়ানায় কাণ্ডারি হিসাবে আপ নেতৃত্ব পছন্দ সিনিয়ার আইএএস অফিসার অশোক খেমকা। তবে এবারই প্রথম নয়, খেমকাকে কাছে পেতে এর আগেও আর দু'বার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই আপকে ঘিরে বিজেপি শাসিক হরিয়ানায় উৎসাহ বাড়ছে।

আপ সূত্রে খবর, সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পদ দিলে অশোক খেমকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারেন। অশোক খেমকা ও কেজরিওয়াল উভয়ই আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এক বছরের বড়। খেমকা পড়ছেন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে, অন্যদিকে কেজরির বিষয় ছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। ফলে পেশাগত জীবনের আগে থেকেই তাঁদের পরিচয়। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিমুক্ত আইএস হিসাবে দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে অশোক খেমকার। যার মাসুলও তাঁকে দিতে হয়েছে বহুবার। ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে ৫৪বার বদলি হতে হয়েছে ১৯৯১ ব্যাচের আইএস খেমকাকে।

খেমকার আপ যোগ আরও দৃঢ় হচ্ছে দলের দিল্লির শাখার করা একটি টুইটে। ওই টুইটে উল্লেথ ছিল, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কলেজ বন্ধু এবং আইএএস অফিসার অশোক খেমকা, যিনি তাঁর ৩০ বছরের কর্মজীবনে ৫৪বার বদলি হয়েছেন, তিনিই হরিয়ানায় আপের পথপ্রদর্শক হবেন৷ আইএস ছেড়ে আপে যোগ দেবেন তিনি। আপ পরিবার প্রসারিত হচ্ছে।'

যদিও তাঁর আপে যোগদান প্রসঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অশোক খেমকা।

আমলাতন্ত্রের মধ্যে তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত অশোক খেমকা প্রথম ২০১২ সালে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট ভঢ়রা এবং ডিএলএফের জমি চুক্তির মিউটেশন বাতিল করেছিলেন। খেমকা তখন ভূমি হোল্ডিং বিভাগের কর্মী ছিলেন। তবে, ভঢ়রার বিরুদ্ধে আঙুল উঠতেই এই আইএসকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে হরিয়ানায় মনোহর লাল খট্টরের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। যদিও খেমকাকে গত সাত বছরের বেশির ভাগ সময়ই রাজ্য সরকারের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বেই চাকরি করতে হচ্ছে।

আপের রাজ্যসভার সাংসদ, সুশীল গুপ্ত, যিনি হরিয়ানায় পার্টির ইনচার্জও, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন যে, আপ রাজ্যের বহু প্রতীক্ষিত পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই ভোটের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। গুপ্তর সংযোন ছিল যে, দল ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে তার অফিস খুলেছে। বিধানসভা ভোটের আগে আপ পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসাবে দেখছে। আর ফাইনাল ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোট।

আপে যোগ দিতে হলে অশোক খেমকাকে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে। পাঞ্জাব ভোটের আগেও আইপিএস অফিসার কুনওয়ার বিজয় প্রতাপও সরকারি চাকরি ছেড়ে আপে যোগ দিয়েছিলেন। এবার ভোটে অমৃতসর উত্তর বিধানসভা থেকে অকালির অনিল যোশীকে ২৮০০০ হাজার ভোটে পরাজিত করেন।

আপের তরফে দাবি, ঝাড়ু ধরতে হরিয়ানার বিভিন্ন দল থেকে নেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শুধু হরিয়ানা নয়, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাটেও বিধানসভা ভোটে লড়তে মুখিয়ে রয়েছে আপ।

Read in English

haryana Arvind Kejriwal AAP
Advertisment