রাজ্যসভার বিরোধীদলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। শুক্রবারই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮০ বছরের এই নেতা। তারপরই নিজের ইস্তফাপত্র কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত মে মাসে কংগ্রেসের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে 'এক পদ এক ব্যক্তি' নীতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মূলত এই ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই নীতি মেনেই খাড়গের পদত্যাগ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেই সনিয়ার কাছে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফাপত্রটি পাঠিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের এই আস্থাভাজন নেতা।
এবার দেখার খাড়গের ছেড়ে যাওয়া পদে কারা দাবিদার। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এক্ষেত্রেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছেন গান্ধীদের দুই ভারসার নেতা দ্বিগিজয় সিং ও পি চিদাম্বরম। দ্বিগিজয় মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পি চিদাম্বরমের দিল্লির রাজনীতিতে বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। অতীতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর গুরু দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পাঁচ দশকের রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন। অশোক গেহলট বেঁকে বসতেই খাড়গেকে কার্যত কংগ্রেসের সভাপতি পদের দৌড়ে ঠেলে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে নেপথ্যে ছিলেন খোদ সনিয়া, রাহুল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অঘটন না ঘটলে খাড়গেই হবেন শতাব্দীপ্রাচীন দলের পরবর্তী সভাপতি। অন্যদিকে, খাড়গেকে ওই পদের জন্য বেছে নেওয়া গান্ধীদের কৌশলী চাল বলেও মনে করা হচ্ছে। কারন, একদিকে খাড়গে তাঁদের আস্থাভাজন। অন্যদিকে খাড়গের মনোনয়নের প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন দলের 'বিদ্রোহী' গোষ্ঠীর একাধিক নেতা। অর্থাৎ, দলের অন্দরের ভেদও মেটানোর চেষ্টার নেতৃত্ব।
মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন শশী থারুর। আপাতত বিবেকের ডাকই তাঁর সম্বল। এছাড়াও লড়াইয়ের ময়দানে তৃতীয় প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি।