Amit Shah Lakshadweep: সেভ লাক্ষাদ্বীপ অভিযান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিজেপির হাইকম্যান্ড। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসক প্রফুল খোড়া প্যাটেলের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলগুলি সরব হতেই আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে প্যাটেলকে ধীরে চলো নীতি নিতে বলেছে। মুসলিম অধ্যুষিত দ্বীপপুঞ্জে গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা, গুন্ডাদমন আইন এবং জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবারই এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপপির প্রতিনিধি দলকে সাফ জানিয়েছেন, দ্বীপপুঞ্জের জনতার ইচ্ছা ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। মানুষ যেটার পক্ষে সায় দেবে সেটাই বাস্তবায়িত হবে। লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ পি আবদুল্লাকুট্টি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি এখনও চিন্তাভাবনার স্তরেই আছে। তার বাস্তবায়নের আগে দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মতামত নেওয়া হবে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষকে বোঝাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের রায় নিয়েই কাজ হবে।
আরও পড়ুন যোগীরাজ্যে ‘অন্তর্কলহ’ গেরুয়া শিবিরে, ক্ষোভ প্রশমনে ময়দানে হাইকম্যান্ড
অন্যদিকে, লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলও সোমবার শাহের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেছেন, তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে কেন্দ্র কোনও এমন সিদ্ধান্ত নেবে না লাক্ষাদ্বীপের মানুষের জনপ্রতিনিধি, পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের না জানিয়ে। প্যাটেলের অপসারণের দাবি নিয়ে কেন্দ্র পরে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শাহ যেদিন এই প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেন সেদিনই তার আগে দ্বীপপুঞ্জের প্রতিবেশী কেরালা সরকার প্রশাসকের অপসারণ এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলির বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাশ করে বিধানসভায়।
আরও পড়ুন কোভিডে মৃত ভোটকর্মীদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে, সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটের
বিজেপি স্বীকার করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘Save Lakshadweep’ প্রচার এবং কেরালার রাজনৈতিক মহলের তরফ থেকে চাপের জেরে দক্ষিণের রাজ্য এবং লাক্ষাদ্বীপে বেকায়দায় পড়েছে দল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশও প্যাটেলের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে অসন্তুষ্ট। বিরোধীদের চাপে সম্ভবত প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারে কেন্দ্র। আপাতত ধীরে চলো নীতি নিতে বলা হয়েছে প্রশাসককে। স্পর্শকাতর বিষয়গুলিতে আলোচনা না করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করা হয়েছে তাঁকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন