বিজেপি সরকার পুরনো সিদ্ধান্তগুলিই ফের নতুন মোড়কে সামনে এনে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ হিসেবে পেশ করছে বলে শনিবার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা উৎপাদনক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির সীমা ৪৯ থেকে ৭৪ শতাংশ করার নির্দেশের বিরোধিতা করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
বাম দলগুলিও অভিযোগ করেছে, অতিমারীর সুযোগে নয়া উদারীকরণ অর্থনীতির পথে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার এবং সমস্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে তারা।
কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ এবং দলের তথ্যপ্রযুক্তি ও ডেটা সেলের চেয়ারম্যান প্রবীণ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছে সংস্কারের নীতিগুলি কেন কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে।
বল্লভ বলেছেন, "অস্ত্র কারখানার বেসরকারিকরণের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই কারখানাগুলির আধুনিকীকরণ প্রয়োজন, যা নতুন লগ্নি, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটানো যেতে পারে।" প্রবীণ চক্রবর্তী বলেছেন, "শয়ে শয়ে পরিযায়ী নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন, তাঁদের খাবার নেই, জল নেই পরিবহণ নেই... আর অর্থমন্ত্রী ভারতীয়দের মহাশূন্যে পাড়ি দেবার কথা বলছেন। খুবই মজার ব্যাপার।"
আর্থিক উৎসাহের প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, "আমাদের হিসেবে দ্বিতীয় দিনের ঘোষণায় ৫০০০ কোটি টাকার ঘোষণা ছিল। প্রায় সব বিশ্লেষকই এ ব্যাপারে একমতষ আজকের ঘোষণায় তার পরিমাণ শূন্য। আজ ঠিক কত টাকার ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে কতটা বাজেটে ধরা ছিল আর কতটা নতুন যুক্ত হয়েছে, সে ব্যাপারেও অর্থমন্ত্রী কোনও উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন।" শনিবারের অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ দফার ঘোষণা নিয়ে আমার এক লাইনের মন্তব্য হল, "কোনও আর্থিক পদক্ষেপ নেই।"
সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ঘোষণার সবটাই ছিল বেসরকারিকরণ নিয়ে। "পারমাণবিক ক্ষেত্র থেকে উড়ান থেকে প্রতিরক্ষা, সর্বত্র ওরা কর্পোরেট পুঁজিকে উৎসাহ দিতে চান। বর্তমান সংকট কাটানোর কোনও বিচক্ষণ বা কার্যকর প্রচেষ্টা নেই।"