কৃষ্ণগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বিজেপি সাংসদকে 'বিহারি গুন্ডা' বলেছেন। বুধবারই মারাত্মক এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। যা ঘিরে বিতর্ক বাঁধে। বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত একই অভিযোগ তুললেন লোকসভায়। উগরে দিলেন ক্ষোভ। তবে, একবারের জন্যও মহুয়া মৈত্রর নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। কিন্তু দুবের অভিযোগ ঘিরে এদিন সরগরম হয়ে ওঠে অধিবেশন। বিজেপি সাংসদের বক্তব্যের মাঝেই খানিক্ষণের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভা। পরে ফের অধিবেশ চালু হলে দলীয় সাংসদকে তাঁর বক্তব্য শেষ করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন সংসদীয়মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। কিন্তু খারিজ করে ফেল অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
এদিন লোকসভায় শুরু থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই সময়ই 'বিহারি গুন্ডা' প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, 'আমি সংসদকে জানাতে চাই যে এই নিয়ে ১৩ ভছর ধরে আমি সংসদের সদস্য। কিন্তু সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বুধবার এক মহিলা তৃণমূল সাংসদ আমাকে যেবাবে বিহারী গুন্ডা বলেছেন তা এর আগে জীবনে দেখিনি।' এরপরই নিজের অপরাধ জানতে চান নিশিকান্ত দুবে। ভাষণে তিনি বলেন, 'আমাদের অপরাধ কী? আমরা দেশের উন্নয়ন করছি এটাই অপরাধ। আমরা পরিপ্রমী। হিন্দিভাষী উত্তরপ্রদেশ বা মধ্যপ্রদেশের মানুষ খুব খাটতে পারে। আমরা ভগবান রামের থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি।'
আরও পড়ুন- লেনিন তত্ত্বে ভরসা রেখেই ত্রিপুরায় ঘাস-ফুল ফোটাতে মরিয়া কলকাতার ছাত্র
নিশিকান্ত দুবের বলার মাঝেই লোকসভা মুলতুবি করে দেন স্পিকারের আসনে সেই সময় অধিবেশন নিয়ন্ত্রণ করা রাজেন্দ্র আগারওয়াল। পরে ফের আধিবেশ শুরু হলে দলীয় সাংসদকে ফের বলতে দেওয়ার আবেদন জানা পরিষদীয় মন্ত্রী। এই ইস্যুতে লোকসভায় আলোচনাও চলতে পারে বলে জানান তিনি। তবে ফের অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে মহুয়া মৈত্র নিশিকান্চ দুবেকে তিনবার 'বিহারি গুন্ডা' বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও কোরামের অভাবে বুধবার ওই বৈঠক হয়নি। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন মহুয়া। বিজেপি অবশ্য এই ইস্যুকেই তৃণমূলের বিরোধীতায় কাজে লাগাতে মরিয়া। জোড়া-ফুল সাসংদের মন্তব্যে হিন্দি ভাষীদের প্রতি তৃণমূলের মনোভাব এর ফলে স্পষ্ঠ হল বলে সরব গেরুয়া বাহিনী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন