"বিজেপির মধ্যে বিভেদ, বিচ্ছেদ ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার চক্রান্ত চলছে।" সোমবার এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা বিপ্লব মিত্র তাঁর ভাইকে নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। তাছাড়া এদিন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ৪ সাংসদ ও এক বিধায়ক সহ ২১ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপরই একই সঙ্গে রাজ্য সরকার ও তার এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য দফতরে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, "২১ শে পরিবর্তনে মানুষ সাড়া দিয়েছে। ভীত সরকার ও তার এজেন্সিগুলি মানুষের মুখ বন্ধ করছে, মিডিয়ার মুখ বন্ধ করছে। বিজেপির মধ্যে বিভেদ, বিচ্ছেদ আর একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করার চক্রান্ত চলছে। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে বিজেপির নেতা, সাংসদ দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পার্টির তরফে এর নিন্দা জানাচ্ছি। সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোনও বিভেদ নেই, আগামী দিনেও হবে না। ভুল বোঝাবুঝি নেই।"
এরাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার খবরের কোনও সত্যতা নেই।
৫ অগাস্ট রামমন্দিরের সূচনা। এদিন দিলীপ ঘোষ সেই বিষয়ে বলেন, "৫ তারিখের বদলে অন্য কোনও দিন লকডাউন করুক। এটা ঐতিহাসিক দিন। রামচন্দ্রের মন্দিরের পুরর্নির্মাণ হচ্ছে। মানুষের উচ্ছ্বাস আবেগ রয়েছে। তাই বাস্তবিকভাবে লকডাউন তুললে ভাল হয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন