মণিপুর ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যসভা উত্তাল। দফায় দফায় অধিবেশন স্থগিত হয়েছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার পিছু হঠলেন বিরোধীরা। তাঁরা ২৬৭ বিধিতে আলোচনার দাবি থেকে সরে এসেছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি থেকেও পিছু হঠেছেন। বিরোধীদের এবার নতুন প্রস্তাব, সরকারকে নিয়মের মধ্যে থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যার শব্দগুলো পরবর্তী বিতর্কের সার হতে পারে। যথারীতি বিরোধীদের এই প্রস্তাব মানা হয়নি। অবশেষে, বৃহস্পতিবারও বিষয়টি নিয়ে সংসদে অচলাবস্থা চলতে থাকে এবং অধিবেশনের কার্যকলাপ ব্যাহত হয়।
সকালে দলগুলোর একটি বৈঠকের পরে বিরোধীরা তাদের অবস্থান বদলায়। সূত্রের খবর, কিছু কংগ্রেস নেতা অচলাবস্থা দূর করার জন্য একটি মধ্যপন্থা নিতে আহ্বান জানান। তাঁরা বাকিদের বোঝান, মোদী সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলো পাস করানোর জন্য সংসদের অচলাবস্থাকে ব্যবহার করছে। আর, সেই কারণেই বিরোধী সদস্যদেরকে 'সমালোচনামূলক' মতামত পেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
রাজ্যসভার এই বৈঠকের পরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও'ব্রায়েন সভাকক্ষে চেয়ারম্যানকে বলেন, 'যদিও আমরা বিশ্বাস করি যে ২৬৭ অন্যান্য সমস্ত নিয়মকে ছাপিয়ে যায়, কিন্তু এটি কোনও সমস্যা নয়। মূল ইস্যু হল, দেশের মানুষ মণিপুর নিয়ে আমাদের কথা শুনতে চায় এবং আমরা বিরোধী দল হিসেবে এই বিষয়ে আলোচনা চাই। আমরা এখানে অহং বা অহংকার দেখাতে আসিনি। আমি আপনার মাধ্যমে একটি সমাধানের জন্য সংসদ নেতার কাছে আবেদন করব। কারণ, এই অচলাবস্থা কাউকেই সাহায্য করছে না। মণিপুর নিয়ে ছয় থেকে আট ঘণ্টা আলোচনা করতে হবে, আসুন এক জাতির চেতনায় আলোচনা করি।'
আরও পড়ুন- তোলপাড় ফেলা অভিযোগ মমতা ব্যানার্জির, ফাঁস করলেন বিরাট ষড়যন্ত্র
ডেরেক একথা বলার পরও অবশ্য সভাকক্ষে হট্টগোল চলতেই থাকে। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান যে তিনি একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্য ফ্লোর নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। সরকারের ফ্লোর ম্যানেজার - রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তথা বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে তাঁর চেম্বারে গিয়ে দেখা করেন।