ঘরের ছেলে হলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। এখন তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার। এই কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার লিস্ট প্রকাশ্যে এনে পিকে-র ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় নাম সংযোজনের বিষয়টি তুলে ধরেছে বিজেপি। একই সঙ্গে 'বহিরাগত' তত্ত্বে জোড়া-ফুল শিবিরকে নিশানাও করেছে পদ্ম শিবির। তবে, এই নিয়ে এখনও তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপির সোশাল মিডিয়া সামলানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সপ্তর্ষী চৌধুরীর করা টুইটে দেখা যাচ্ছে, সেন্ট হেলেন স্কুলের ২২২ নম্বর পার্টে নথিভুক্ত হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের নাম। ভোটার সিরিয়াল নম্বর রয়েছে ৯০৫। ভোটার তালিকায় পিকে-র ছবির পাশে উল্লেখ রয়েছে, তাঁর বয়স ৪৪ বছর। বাবার নাম শ্রীকান্ত পান্ডে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রশান্ত কিশোরের কলকাতার ঠিকানা, ২১বি, রানি শংকরী লেন, কলকাতা-৭০০০২৫।
ভোটার তালিকায় থাকা এপিক নম্বর দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সার্চ করলেই মেলে ভোটারের বিস্তারিত তথ্য। এ ক্ষেত্রে বিজেপি নেতার টুইটে উল্লেখ পিকে-র এপিক নম্বর দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সার্চ করা হলে প্রশান্ত কিশোর নাম এবং তাঁর পোলিং বুথ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কমিশনের ওয়েবসাইটে ভোটারের ছবি দেখা যায় না। তাই ওই ব্যক্তিই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর কি না,তা নিশ্চিত নয়। তবে, বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তি ভোট কৌশলী পিকে-ই।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতারা যেখানে খুশি যাচ্ছেন, আমি কোথাও যেতে চাইলেই বাধা দেয়: মমতা
এর আগে বিহারের বাসিন্দা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে কোনও জায়গার ভোটার হতে গেলে অন্তত টানা ৬ মাস তাঁকে সেই অঞ্চলে বসবাস করতে হয়। চলতি বছর বাংলার বিধানসভা ভোট হয়েছে। তৃণমূলের ভোট কৌশলী ছিলেন পিকে। তাই এ বছর বেশিরভাগ সময়ই এ রাজ্যেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে গত জানুয়ারীতে বাংলার ভোটার হতে চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
এই ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। অন্য রাজ্যের ভোটার কেন এ রাজ্যের ভোটার হলেন, 'বহিরাগত' তত্ত্ব খাড়া করে তা নিয়ে প্রশান তুলেছে গেরুয়া বাহিনী। টুইটে বিজেপিু নেতা সপ্তর্ষী চৌধুরী লিখেছেন, 'অবশেষে প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুরের ভোটার!!বাংলার মেয়ে কি তবে বহিরাগত ভোটার চায়!! তৃণমূল, কুণাল ঘোষ জানতে চায় রাজ্যের মানুষ।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন