বোনের পর কি এবার ভাইকেও পাশে পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী? উনিশের ভোটযুদ্ধে মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পাশাপাশি নিজের খুড়তুতো ভাইকেও পাশে পেতে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি, এমনটাই জল্পনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। এক্ষেত্রে ভাই বলতে সঞ্জয় ও মানেকা গান্ধীর পুত্র বরুণ গান্ধী। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু এমন জল্পনায় দিল্লি দরবার সরগরম হলেও খোদ রাহুল না কি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার রাহুল বলেন, ‘‘আমি এমন কিছু শুনিনি।’’
বরুণের কংগ্রেসে যোগদানের এই জল্পনা ঘিরে চর্চা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ক’দিন আগেই দলের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বর্তমানে বরুণ উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বিজেপি সাংসদ। এদিকে আবার উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটে ঠাঁই না পেয়ে ৮০টি কেন্দ্র থেকেই একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুলরা। সেই প্রেক্ষাপটে বরুণকে দলে পেলে, উনিশের লড়াইয়ের মুখে গেরুয়াশিবিরে জোর কা ঝটকা তো হবেই, পাশাপাশি বাড়তি অক্সিজেন পাবে কংগ্রেস, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আরও পড়ুন, উনিশে ভোটযুদ্ধের মুখে রাজনীতিতে হাতেখড়ি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর!
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে প্রিয়াঙ্কাকে দলে এনে বড়সড় চমক দিয়েছে কংগ্রেস শিবির। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করা হয়েছে সোনিয়া তনয়াকে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যে ৩০টি কেন্দ্রের দায়িত্ব বর্তেছে প্রিয়াঙ্কার কাঁধে, তার মধ্যে রয়েছে 'মোদী গড়' বারাণসী ও যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর কেন্দ্র। রায়বরেলি থেকে এবার সোনিয়ার পরিবর্তে ভোটে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা, এমন চর্চাও চলছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাতেও।
প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে যোগদান প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘‘আমার বোন খুবই দক্ষ। ও আমার সঙ্গেই কাজ করবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুবই খুশি।’’ রাহুল আরও বলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে দল তরুণ নেতা চেয়েছিল।’’ ফলে, রাহুলের তারুণ্যের ডাক শুনে গান্ধী পরিবারের আরেক তরুণও পারিবারিক ঐতিহ্যের হাত পতাকা হাতে তুলে নেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা প্রবল।
Read the full story in English