নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে কীভাবে এই চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তলব করেছিলেন সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকদের। পাল্টা এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেই তলবে সাড়া দেয়নি এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে সিবিআই। এই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের নির্দেশ, অধ্যক্ষ একটি সাংবিধানিক পদ। তাই তিনি তলব করলে সিবিআইকে হাজিরা দিতেই হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবেন না।
বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে এ দিন বিকেল ৪টে সিবিআই, ইডির অধিকারিকদের হাজিরার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আর মান্থা। আদালতের নির্দেশের পরই আজ বিকেল চায়টেয় বিধানসভায় হাজির হয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। রয়েছেন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার এসকে সিং সহ মোট পাঁচজন।
দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে কীভাবে এই চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তা জানতে দু'বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ। কিন্তু অধ্যক্ষের এক্তিয়ার নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে সেই তলব এড়ান সিবিআই, ইডি। পরে আজ দুপুরে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের তলব করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একই কারণ দেখিয়ে তলব বিধানসভায় যাননি সিবিআই, ইডি আধিকারিকরা।
পরে অধ্যক্ষের তলবের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন সিবিআই। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন