/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/01/Chandra-Bose.jpg)
এদিন ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালনে হঠাৎ ছন্দপতন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। আর সেই স্লোগানে আপত্তি তুলে বক্তব্য পেশ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই অবস্থানকে এদিন সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। তিনি বলেন, 'জয় শ্রীরাম শুনে কারও গাত্রদাহ হওয়ার কথা নয়। নেতাজি সাম্যের জন্য লড়েছিলেন। তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজে সব ধর্মের মানুষ ছিল। তাই জয় হিন্দ আর জয় শ্রীরামে আমি কোনও ফারাক দেখছি না।'
চন্দ্র বসুর মত, 'জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মুখ্যমন্ত্রীর এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। আজ রাজনীতি করার সময় নয়। আজ উদযাপনের দিন। আজ আজাদ হিন্দ বাহিনীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর দিন।' যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগানের তীব্র বিরোধিতা করেছে বাম-কংগ্রেস। বিজেপির বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগ নেই। কড়া আক্রমণ তৃণমূলেরও।
I think the CM need not have reacted adversely to a slogan whether it's 'Jai Hind' or 'Jai Shri Ram'. This is not the day to do any politics. It is a day to celebrate, it is a day to pay homage to the soldiers and martyrs of Indian National Army: Chandra Kumar Bose https://t.co/QR1MQfhOZV
— ANI (@ANI) January 23, 2021
আরও পড়ুন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পাল্টা ‘জয় হিন্দ’! অপমানের জবাব দিলেন মমতা
প্রসঙ্গত, এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংগীতানুষ্ঠানের পরই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু মমতা মঞ্চে উঠতেই দর্শকাসন থেকে উড়ে আসে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। আর তাতেই মেজাজ হারান মমতা। তিনি রেগে গিয়েও অত্যন্ত শান্ত গলায় বলেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। আমি মনে করি এভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেইজ্জত করা উচিত নয়। সেই জন্যই আমি আর একটি কথাও এখানে বলব না। তবে কলকাতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।” একথা বলেই মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি।
এদিকে, শনিবার সকালে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালনে শ্যামবাজার থেকে রেড রোড অবধি একটা পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এই পদযাত্রায় জনজোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো।