পুরভোটের আগে গত সোমবার বিধাননগরে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় যুব মোর্চার নেতা সহ বেশ কয়েকজনকে। ওই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। প্রতিবাদে আজ, সোমবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট অভিযান করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল কমিশনারেটের কাছে এলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে পুলিশ কমিশনার বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করায় রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা, কর্মীরা।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, দলের জেলা সভাপতি পুলিশ কমিশনারকে আগেই জানিয়েছিলেন যে গত বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে দলের প্রতিনিধিরা দেখা করবেন। সেদিন দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় কর্মসূচি এ দিন হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কমিশনার পালিয়ে গিয়েছেন। দেখা করলেন না। প্রমাণ হল পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।
বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গত সোমবার দলীয় কার্যলয়ে ভাঙচুর করেছে। বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে। তাঁর আরও দাবি যে, মানিকতলা থেকে নিয়ে এসে হামলা করানো তিন জন দুষ্কৃতীর নাম পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। তাদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
শুভেন্দু বলেন, 'পুরভোট কেন্দ্রীয় পুলিশের আওতায় করানো হোক। আবারও এই দাবি করছি। আদালতে আমাদের এই দাবির ভিত্তিতে মামলা চলছে। আসলে তৃণমূল বুঝেছে বিজেপিই একমাত্র তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে। তাই পদ্ম ফুলের পতাকা, ফেস্টুর খুলে দেওয়া হচ্ছে।'
বিধাননগর কমিশনারেটকে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, 'প্রতিবাদকারীদের উপর চালান জলকামান। নন্দীগ্রাম সহ নানা জায়গায় বহু লড়াই করেছি। এখানেও করব। মনে রাখবেন তৃণমূলের পিসি-ভাইপো আপনাদের বেতন দেয় না। ডিএ পাননি এই জানুয়ারিতে। মাইনেও জুলাইতে বাড়বে না।'
সল্টলেকের বিজে ব্লকের ১৯৩ নম্বর বাড়িতে বিধাননগর পুর নির্বাচনের জন্য বিজেপি কার্যালয় তৈরি করে। অভিযোগ, গত সোমবার সেই কার্যালয়ের বাইরে বেশ কিছু যুবক জড়ো হয়। আচমকাই তারা কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে। সে সময়ে ওই কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক ছিলেন বলে দাবি। বেশ কিছু মহিলা কর্মীও ছিলেন। উপস্থিত কর্মীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। আর বাধা দিতেই মারধর করতে শুরু করে তারা। এরপরেই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী কার্যালয়ের কম্পিউটারও ভেঙে দেওয়া হয়। দলীয় প্রচারের জন্য রাখা হোর্ডিংও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হন যুব মোর্চার এক নেতা, আহত হন পদ্ম শিবিরের মহিলা কর্মীরাও।