/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/cats-198.jpg)
টানা জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মিলতেই গ্রেফতার।
এক মাস আগেই ইডি-র জালে পড়েছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজি। এরপরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এম কে স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুডির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এদিন সকাল ৭টা থেকে ভিলুপুরম এবং চেন্নাই সহ পনমুডির চারটি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।
বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ইডি-র এই অভিযান বিশেষভাবে তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে ডিএমকে সভাপতি তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সহ ২৪টি 'সমমনস্ক-দলের' নেতারা অংশ নেবেন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রণকৌশল তৈরি করবেন।
আধাসামরিক বাহিনীর সুরক্ষায় এদিন সাতজন ইডি অফিসারের একটি দল ডিএমকে নেতা পনমুডির বাসভবন, মন্ত্রীর ছেলে এবং সাংসদ গৌথম সিগামনি, তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং সহযোগী ব্যক্তিদের নানা জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
যদিও ইডি আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযান সমন্ধে কিছু জায়ায়নি। ২০১২ সালে তামিলনাড়ুর কল্লাকুরিচি সাংসদ পনমুডি এবং সিগামনির বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে মামলার প্রেক্ষিতে এই অভিযান বলে সূত্রের খবর।
এর আগে ডিএমকে-এর শাসককালে (২০০৬-১১) খনি ও খনিজ মন্ত্রী হিসাবে পনমুডির বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু ক্ষুদ্র খনিজ ছাড় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। পনমুডির বিরুদ্ধে মামলায় ভানুর ব্লকের পুথুরাইতে একটি লাল বালির খনি বরাদ্দ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল, আইন এবং খনি ও খনিজ আইনের বেশ কয়েকটি ধারাকে যা উপেক্ষা করে। অভিযোগ পনমুডির দেওয়া ছাড়পত্রের জেরেই নির্ধারিত গভীরতার বাইরে খনিতে অতিরিক্ত খনন, যার ফলে ২০০৭ সাল থেকে সম্পদের অত্যধিক নিষ্কাষন হয়েছে। এই খনির আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ২৮.৩৭ কোটি টাকা। মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন মন্ত্রী পনমুডির ছেলে সিগামনি।
২০২০ সালে, ইডি সিগামনির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল, যার ফলে ৮.৬ কোটি টাকার সম্পত্তি এই মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এগুলি বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অবৈধ অধিগ্রহণ এবং অ-প্রত্যাবাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
অতীতেও পনমুডির বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রী থাকাকালীন চেন্নাইয়ের সাইদাপেট এলাকায় সরকারি জমি বেআইনি অধিগ্রহণের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।