আশঙ্কাই সত্যি হল। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ মাতানো ফুটবলার আনোয়ার আলির কেরিয়ার নিয়ে বড় ঘোষণা করল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি। জানিয়ে দিল, হৃদযন্ত্রে সমস্যার জন্য যে কোনও ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবেন না আনোয়ার। বর্তমানে বছর কুড়ির এই ফুটবলার ভারতের হয়ে ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। এখন মহামেডান স্পোর্টিংয়ে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করার আগেই কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল আনোয়ারের। ক্লাবও এএফসির এই নিষেধাজ্ঞার পর তাঁকে আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া আই লিগ কোয়ালিফায়ারের জন্য রেজিস্টার করবে না বলে জানিয়েছে।
সর্বভারতী ফুটবল ফেডারেশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এএফসির মেডিক্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান ডাটো গুরুচরণ সিং আনোয়ারের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে তাঁর খেলা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। এরপরই ফেডারেশনের আপৎকালীন কমিটি একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে আনোয়ারের ভাগ্য। ওই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, "এএফসি আনোয়ারের হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে সতর্ক করেছে, যে ভবিষ্যতে খেললে ওই ফুটবলারের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হতে পারে। তাই তাঁকে যে কোনও খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা হোক। তবে অবসর সময়ে শরীর চর্চার জন্য যে কোনও খেলাধুলা করতে পারেন আনোয়ার। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল একদম নিষিদ্ধ। ফেডারেশনের চিকিৎসক ও মেডিক্যাল কমিশনও একই পরামর্শ দিয়েছিল।"
আরও পড়ুন আতলেতিকোয় ফিরলেন বার্সায় ব্রাত্য সুয়ারেজ
তবে আনোয়ার ফেডারেশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে সশরীরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে তাঁর আর্জি গ্রহণ হলেও জরুরি বৈঠকে মেডিক্যাল কমিশনের সামনে তাঁকে থাকতে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ফেডারেশন। আলি জানিয়েছেন, "আমি খেলতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই এগোতে চাই। আমি স্বেচ্ছায় এই ঝুঁকি নিতে চাইছি। পেশাদার ফুটবল খেলার জন্য এই ঝুঁকি নিতে চাই।" প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে আনোয়ারের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে। এই সমস্যার জেরে তাঁর হৃদযন্ত্রের পেশিগুলি পুরু হতে শুরু করে এবং যা রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। তারপরই ডাক্তাররা তাঁকে ফুটবল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। যার ফলে আইএসএলের মুম্বই সিটির সঙ্গে তাঁর চুক্তি ভেঙে যায়।
মহামেডানের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, কলকাতা লিগ বা স্থানীয় টুর্নামেন্টে আনোয়ারকে খেলানোর চেষ্টা চলছে। আর তাঁকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যও চেষ্টা করছেন দীপেন্দু। ফুটবলকে চিরতরে বিদায় জানাতে হলে আনোয়ারের আর্থিক কোনও সমস্যা যাতে না হয় সেই চেষ্টাই করছেন ক্লাবের কর্তা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন