ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলেছিলেন। সেই বয়েড রানকিং শুক্রবার অবসর নিলেন। আন্তর্জাতিক তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটেও আর দেখা যাবে না তাঁকে। ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮ বছরের লম্বা কেরিয়ারে ৩টে টেস্ট, ৭৫টি একদিনের ম্যাচ এবং ৫০টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৬৯ টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখছেন তিনি।
কেরিয়ারে একের পর এক নজির! টেস্ট ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের সর্বপ্রথম উইকেট প্রাপক তিনি। আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম খেলে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। মালাহাইডের সেই ম্যাচেই দেশের জার্সিতে প্রথম উইকেট তুলে নেন বয়েড রানকিং।
আরো পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার প্রথম এগারোয় পন্থ নাকি ঋদ্ধি! চমকে দেওয়া জবাব বাংলার তারকার
লম্বা হওয়ায় যেকোনো পিচ থেকে বাউন্স আদায় করে নিতে পারতেন। সেই সঙ্গে পেসও ছিল নজরকাড়া। ২০০৩-এ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১৫ জন তারকার দুটি আলাদা দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার নজির রয়েছে। বয়েড রানকিং তাঁদের মধ্যে অন্যতম। স্বদেশীয় ইয়ন মর্গ্যানের মতই তিনি ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন টেস্ট খেলবেন বলে। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতেই এসেজে সিডনিতে খেলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সেটাই ছিল তাঁর একমাত্র টেস্ট। এরপর ইংরেজদের হয়ে আরো ৭টি ওডিআই এবং ৩টে টি২০ খেললেও টেস্টে আর সুযোগ পাননি।
তিন বছর ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলার পর ২০১৬-য় শেষ পর্যন্ত স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে এরপর তিনি ২টো টেস্ট, ৬৮টি ওডিআই এবং ৩৮টি টি২০ ম্যাচ খেলবেন। ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান, বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল আইরিশ ক্রিকেটাররা। সেই দলে বয়েড রানকিংও ছিলেন। এছাড়াও ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল বয়েড রানকিংয়ের আয়ারল্যান্ড। কোভিড অতিমারীতে গত বছর গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন বয়েড। সেখানেই কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন