কোপার সেমিফাইনালে এবার ব্লকবাস্টার ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা। শনিবারেই ঠিক হয়ে গেল কোপার সেমিফাইনালের লাইন-আপ। সেখানেই মেসি বনাম কুটিনহো, ডি মারিয়া বনাম গ্যাব্রিয়েল জেসাস, অ্যাগুয়েরো বনাম ফির্মিনহো! শুক্রবারেই পেনাল্টি শ্যুট আউটে প্য়ারাগুয়েকে হারিয়ে রূদ্ধশ্বাস ম্য়াচে জয়লাভ করে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ব্রাজিল। শনিবার আবার আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকাল ভেনেজুয়েলাকে ২-০ গোলে হারিয়ে।
আগে থেকেই ঠিক ছিল গ্রুপ বিন্যাস অনুযায়ী, সেমিফাইনালে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল জায়ান্ট একে অন্যের মুখোমুখি হতে পারে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সেই নিয়ম মেনেই এবার ভেনেজুয়েলাকে হারাল মেসিরা। বলার মতো বিষয় একটাই, ব্রাজিল রোমহর্ষক ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ চারে গিয়েছে। তবে আর্জেন্টিনাকে অতটা কষ্ট করতে হয়নি। কার্যত বিনা বাধায় ভেনেজুয়েলা-বধ সম্পন্ন করেছে তারা।
আরও পড়ুন মাদারের কলকাতা এখনও হৃদয়ে, সাক্ষাৎকারে অকপট মেসি-মারাদোনার আদরের ‘বুরু’
ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে আক্রমণে আর্জেন্টিনার ঝাঁঝ অনেক বেশি! ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই নীল-সাদা জার্সিধারীদের এগিয়ে দিতে পারতেন সের্জিও অ্যাগুয়েরো। মার্টিনেজ বুদ্ধিদীপ্ত পাস বাড়িয়েছিলেন সের্জিও অ্যাগুয়েরোকে। দুরূহ কোন থেকে বল জালে রাখলেও সেই শট বাঁচিয়ে দেন ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক। তবে আর্জেন্টিনাকে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষাব করতে হয়নি। প্রথম সুযোগের ৭ মিনিট পরেই গোল আর্জেন্টিনার। মেসির কর্ণার বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই বল অ্যাগুয়েরো হয়ে মার্টিনেজের পা ঘুরে জালে।
প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। মাঝমাঠ থেকে লেয়ান্দ্রো পার্দেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৭৪ মিনিট পর্যন্ত। গোলকিপারের বদন্যতাতেই আসে এই গোল। অ্যাগুয়েরোর জোরালো শট ঠিক মতো গ্রিপ করতে পারেননি গোলকিপার। সেই বল ফলো করে গোল করে যান পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা জিওভানি লো সেলসো।
২-০ জিতে বেলো হরাইজন্তেতে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে সেই ম্যাচে ফাইনালের টিকিট পাবেন মেসিরা, সেটাই দেখার।