কয়েক সপ্তাহ আগেই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আর সূচি ঘোষণার পর থেকেই ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। অক্টোবরের ১৫ তারিখে ব্লকবাস্টার ভারত-পাক ম্যাচ। সেই ম্যাচের জন্য এখন থেকেই অধীর আগ্রহে গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা তো বটেই সেই ম্যাচ গ্যালারি থেকে চাক্ষুস করতে উৎসাহের অন্ত নেই প্রবাসী ভারতীয়দেরও। আর মেগা-ম্যাচের আগে আহমেদাবাদের হোটেলের ভাড়া বেড়ে গিয়েছে একধাক্কায় অনেকটা। ভারত-পাক ম্যাচের সময়ে আহমেদাবাদে হোটেলের খরচ আকাশ ছুঁয়েছে।
এমনিতে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে ভারত-ম্যাচ ম্যাচ হবে। ১৫ দিনের মধ্যে তিনবার মুখোমুখি হতে পারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। এমন সম্ভবনা রয়েছে টুর্নামেন্টের লাইন আপে। তবে ঘটনা হল, এশিয়া কাপ নয়, বিশ্বকাপের মঞ্চেই ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে যাবতীয় উন্মাদনা।
ঘটনা হল, উত্তুঙ্গ চাহিদার কারণে আহমেদাবাদের সমস্ত হোটেলের রুম সকলই বুক হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন সৃজনশীল ভাবনা নিয়ে আবির্ভাব ঘটছে সমর্থকদের। হোটেলের রুম না পেয়ে হাসপাতালের রুম বুকিং করতে শুরু করেছেন অত্যুৎসাহী সমর্থকরা।
আহমেদাবাদ মিরর-কে দেওয়া এক হাসপাতালের কর্মী পরশ শাহ জানিয়েছেন, "হাসপাতাল হওয়ার কারণে অনেকেই ফুল বডি চেক আপের অছিলায় রাত্রিবাসের আবেদন করেছেন। যাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়- রাতে থাকার বন্দোবস্ত হওয়ার সঙ্গেই ফুল বডি চেক আপও হয়ে যায়। এরা ডিল্যাক্স সুইট বুক করতেও দ্বিধা করছেন না। হাসপাতালের রুম সীমিত হওয়ার কারণে আমরা বিচার-বিবেচনা করেই এনআরআই-দের বুকিং নিচ্ছি। কারণ রোগীর চিকিৎসাকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। এমনকি আমার বন্ধুরা ও হাসপাতালে থাকার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। হাসপাতালে জেনারেল রুমের পাশাপাশি স্পেশ্যাল রুম-ও রয়েছে। তাঁদের প্রধান লক্ষ্যই হল ভারত-পাক ম্যাচ দেখে মেডিক্যাল সুবিধার লাভ নেওয়া।"
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এক রাতের ভাড়া ইতিমধ্যেই আকাশ ছুঁয়েছে। বর্তমানে আইটিসির ডিল্যাক্স রুমের ভাড়া ৫৬৯৯ টাকা। তবে ১৫ অক্টোবর রাতে সেই রুমের ভাড়া হাঁকা হচ্ছে ৭১,৯৯৯ টাকায়। এমনকি অনেক হোটেলের ভাড়া এক রাতের জন্য লাখ টাকাও হাঁকা হচ্ছে।