ফ্রান্স ২ (ভারান ৪০', গ্রিজমান ৬১') | উরুগুয়ে ০
ক্যালেন্ডারে আজকের তারিখ আর ফ্রান্স-উরুগুয়ের ম্যাচের দু'টো বিষয় অদ্ভূত ভাবে মিলে গেল। আজ জুলাইয়ের ৭ তারিখ, অর্থাৎ ৬/৭। উরুগুয়েকে হারিয়ে ছ'বার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠল ফ্রান্স (১৯৯৮-তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া, ২০০৬-তে রানার্স)। এবং খেলার দ্বিতীয় গোলদাতা আঁতোয়া গ্রিজমানের জার্সি নম্বর ৭। গ্রিজমানের এই গোলটা যদি ফার্নান্দো মুসলেরা না ফসকাতেন তাহলে হয়ত শুক্রবার নিঝনি নভগোরদে কোয়ার্টার ফাইনালের চিত্রটা অন্যরকম হয়ে যেত।
তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারের গোলকিপার এদিন গ্রিজম্যানের ২৫ গজ থেকে নেওয়া শট হাতে লাগিয়ে জালে ঢুকিয়ে দিলেন। এরকম মঞ্চে এরকম ভুল শুধরে নেওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকে না। পারেনি উরুগুয়েও।
এরকম ভুলই কয়েক মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে করেছিলেন লিভারপুলের লরিস ক্যারিয়াস। চোখের জলে করজোড়ে কিয়েভে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেদিন লিভারপুলও পারেনি ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখতে। নিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সোশ্যাল মিডিয়াতে মুসলেরাকে নিয়ে মশকরা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অনেকে বলছেন, ছদ্মবেশে ক্যারিয়াস খেললেন।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই ফ্রান্স এবং উরুগুয়ে মরণপণ ঝাঁপিয়েছিল। শুরুর দিকে উরুগুয়ের পজিটিভ আক্রমণ আটকে গেছিল হুগো লরিসের হাত ধরে। এরপর থেকে ফ্রান্স ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। বিরতির পাঁচ মিনিট আগে গ্রিজমানের মাপা ফ্রি-কিক মাথায় ছুঁইয়ে দিদিয়ের দেশর ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান।
ম্যাচের সামগ্রিক চিত্রটা ছিল এরকম:
গোললমুখী শট: উরুগুয়ে ৪, ফ্রান্স ২
বল পজেশন: উরুগুয়ে ৩৮%, ফ্রান্স ৬২%
পাস খেলেছে: উরুগুয়ে ৩১১টা, ফ্রান্স ৫১৬টা
নিখুঁত পাস: উরুগুয়ে ৬৩%, ফ্রান্স ৮০%