ব্রাজিল: ২ (রিচার্লিসন-২)
সার্বিয়া: ০
সার্বিয়াকে ২-০ গোলে উড়িয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলই করলেন রিচার্লিসন। তবে নেইমারের ইনজুরি ব্রাজিলের জয়ের আনন্দ অনেকটা মাটি করে দিল। প্রথমার্ধে ব্রাজিল একের পর এক গোলের সুযোগ পেয়েছিল। তবে দুর্ধর্ষ গোলকিপিংয়ের নমুনা তুলে ধরে সার্বিয়ান ভ্লানজা মিলিনকোভিচ স্ল্যাভিচ বারবার ব্রাজিলিয়ানদের আক্রমণ রুখে দেন। প্রথমার্ধে বল পজেশনে অনেক এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তা সত্ত্বেও বিরতিতে গোলশূন্যভাবেই ম্যাচ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও মিলিনকোভিচ রাফিনহা, আলেক্স স্যন্দ্রোসের জোরালো শট আটকে দেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ব্রাজিলকে প্ৰথম ম্যাচেই হয়ত রুখে দেবে সার্বিয়া। সেই সময়েই ব্রাজিলকে লিড এনে দেন রিচার্লিসন। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্লোজ শট আটকে দিলেও বল গ্রিল করতে পারেননি সার্বিয়ান গোলরক্ষক। সেই লুজ বল ধরেই গোল করে যান রিচার্লিসন। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রস থেকে সাইড ভলিতে দুরন্ত গোল করে যান।
তার আগে ২৭ মিনিটে ব্রাজিল প্রায় লিড নিয়ে নিয়েছিল থিয়াগো সিলভার লো পাস থেকে। তবে মিলিনকোভিচ ক্লিয়ার করে দেন ঠিক সময়ে। রাফিনহার শটও বাঁচিয়ে দেন তিনি।
ব্রাজিলের জোড়া গোলে জয়ের আনন্দে চোনা ফেলে দিয়েছে নেইমারের চোট। বারবার সার্বিয়ান ফুটবলাররা টার্গেট করেছিলেন পিএসজি তারকাকে। শেষমেশ ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় কোচ তিতে তুলে নিতে বাধ্য হন নেইমারকে। ব্রাজিলিয়ান মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, চোটের পরিমাণ খতিয়ে দেখে ২৪-৪৮ ঘন্টা পরে বোঝা যাবে বাকি টুর্নামেন্টে নেইমার খেলতে পারবেন কিনা!