Hamza Choudhury: দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে বর্তমানে যথেষ্ট চর্চিত নাম হলেন হামজা চৌধুরি। জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ডেবিউ করেননি বাংলাদেশের এই ফুটবলার। তবে এএফসি এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে তাঁর অভিষেক হতে চলেছে। হামজার বাবা গ্রেনাডা দেশের বাসিন্দা। মা বাংলাদেশি। ছোটবেলা থেকেই হামজা ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে বড় হয়ে উঠেছেন। ইংল্যান্ডে তাঁর ফুটবল যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সালের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী লেস্টার সিটি এফসি-র হয়ে খেলেছেন তিনি।
ফুটবল যাত্রা এবং সাফল্য
লেস্টার সিটির হয়ে পেশাদার ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হামজা। ২০১৭ সালে সিনিয়র দলের হয়ে ডেবিউ করেন তিনি। এই ক্লাবের হয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত ১৩১ ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ সালে এই ক্লাবের হয়েই তিনি এফএ কাপ জয় করেন। এটা তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম বড় সাফল্য। বর্তমানে তিনি লোনে শেফিল্ড ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলছেন। হামজার মধ্যে একদিকে যেমন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে, তেমনই রয়েছে ফুটবল দক্ষতাও।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যোগদান
বাংলাদেশের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর মাতৃত্বের টান রয়েছে। আর সেকারণেই তিনি এই দেশের হয়ে ফুটবল খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত বছর অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। এরপর ডিসেম্বর মাসে যাবতীয় আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকরা হামজা চৌধুরীর জন্য অপেক্ষা করে বসেছিলেন। ইতিমধ্যে সিলেটে তাঁকে নায়কোচিত অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে।
ভারতের ভীতির কারণ হতে পারেন হামজা চৌধুরী?
আশা করা হচ্ছে, হামজার যোগদান বাংলাদেশি ফুটবল দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারবে। আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্য়াচে হামজা তাঁর প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় ফুটবল দলকে যে কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে, তেমন আশঙ্কা অনেকেই করছেন। ভারতীয় ফুটবলাররা আইএসএল খেলতে অভ্যস্ত হলেও ইউরোপ ফুটবলের মোকাবিলা তাঁরা আগে কখনও করেননি। বাংলাদেশে পা রেখেই হামজা বলেছেন, 'ইনশাল্লাহ, আমরাই ভারতের বিরুদ্ধে জিতবে। কোচ জাভিয়ের-এর সঙ্গে আমি এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি।' দুই দলের সমর্থকরাই আপাতত যুদ্ধের অপেক্ষা করছেন।