Kuldeep Yadav expected to be in t20 World cup squad: কেকেআরে খেলাটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল! নাইটদের ঠুকে বিশ্বকাপের আগে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন টিম ইন্ডিয়ার সুপারস্টার কুলদীপ যাদব। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেওয়ার পর থেকে ৩৩ ম্যাচে ৪১ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় দলের এই তারকা। নিজেকে ঘষেমেজে পারফরম্যান্স ঝকঝকে করেছেন। কিন্তু, ২০১৯ সালে এই বাঁহাতি স্পিনার যখন কেকেআরে ছিলেন, তখন তাঁর সুপরামর্শের দরকার ছিল। সেই সময় সেটা চেয়েও পাননি। এই আক্ষেপ আজও তাড়িয়ে বেড়ায় কুলদীপকে।
২০২০ সালে কুলদীপের অ্যান্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) সার্জারি হয়েছিল। এরপর তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগদান করলে জাতীয় দল এবং আইপিএল- উভয়ক্ষেত্রেই তাঁর ফর্মের উন্নতি হয়। বর্তমানে কুলদীপ টি-২০র অন্যতম সেরা স্পিনার। কুলদীপ জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে তিনি কোচ কপিল পাণ্ডের কাছে কয়েক মাস প্রশিক্ষণ নেন। আর, তার তাতেই তার দক্ষতার অগ্রগতি ঘটে। তারই সুফল গত কয়েক বছর ধরে ভোগ করছেন কুলদীপ।
তিনি বলেছেন, 'কেকেআর-এ, থাকার সময় পরামর্শের দরকার ছিল। কিন্তু, এখন আর তার প্রয়োজন নেই। আমি এখন জানি, আমাকে কী করতে হবে। ২০১৯ সালে, মাহি ভাই (এমএস ধোনি, জাতীয় দলে কুলদীপের পরামর্শদাতা) অবসর নিয়েছিলেন। সেই সময় আমার সঠিক পরামর্শের দরকার ছিল। এখন আমার নিজের বোলিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা আছে। গত দেড় বছরে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে।'
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কুলদীপ বলেন, 'আমি এখনও আমার কেকেআরে থাকার সময়কাল (২০১৬-২০২০ থেকে) নিয়ে আফসোস করি। আমি এখন যা করছি, তা যদি আগে অনুভব করতে পারতাম, আমার পারফরম্যান্স আরও ভালো হত। এটাই শুধু এখনও আমাকে কষ্ট দেয় যে আমি যদি সময়মতো আমার দক্ষতা কাজে লাগাতে পারতাম, তবে আরও ভালো খেলতে পারতাম।'
কানপুরের কুলদীপ বলেন, 'অভিজ্ঞতা ছাড়া দক্ষতা বাড়ে না। আগে আমি শুধু নিজের দক্ষতার ওপরই বিশ্বাস রাখতাম। এখন ব্যাটার কীভাবে ব্যাট করছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করি। বুঝতে চাই, কীভাবে নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারব। প্রতিপক্ষের কোথায় আঘাত করতে পারব, সেটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি।' অস্ত্রোপচারের পর কুলদীপ তাঁর রান-আপের ধাঁচে পরিবর্তন এনেছেন। কুলদীপ বলেন, 'এনসিএর ফিজিও আমাকে কিছু টিপস দিয়েছেন। তাতেও আমার বেশ উপকার হয়েছে।'