ক্রিজে রিল্যাক্সড মুডে থাকেন। সেই সঙ্গে বিধ্বংসীও। বাইশ গজে ব্যাট করার সময় এতটাই ফুরফুরে থাকেন যে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে রোহিত শর্মা আদৌ সিরিয়াস তো! এমনই সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে ইরফান পাঠান জানিয়ে দিলেন, রিল্যাক্সড থাকলেও কঠোর পরিশ্রমে কোনো খামতি দেননা হিটম্যান।
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে পাঠান জানালেন, "রোহিতের থেকে কেউ যদি বেশি রিল্যাক্সড মুডে ব্যাটিং করেন। সময় নিয়ে থাকেন। তাহলে অনেকেই ভুল বোঝেন। অনেকেই তাঁকে বেশি পরিশ্রম করতে বলেন। ওয়াসিম জাফরই যেমন। ওঁর ক্রিকেটীয় দ্যুতির দিকে তাকানো হোক। যখন রান নিত একদম ফুরফুরে মেজাজে থাকত। ব্যাট করার সময় নিজের সময় নিয়ে খেলত। আমরা খালি ভাবতাম, ও আরো বেশি পরিশ্রম করে না কেন! ঘটনা হল ও কিন্তু সত্যি সত্যি কঠোর পরিশ্রম করত।"
এরপরেই রোহিতের প্রসঙ্গ এনেছেন তিনি। পাঠান জানান, "বাইরে থেকে আমরা ভাবতাম রোহিতের আরো বেশি পরিশ্রম করা প্রয়োজন। আরো বেশি নিজেকে মেলে ধরা উচিত। তবে ওঁর সঙ্গে কথা বলার সময় ও কিন্তু পরিশ্রম করার কথা বলত, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করত। সব সময়েই ব্যক্তির আগে ওর কাছে দল প্রাধান্য পায়।"
কেরিয়ারের শুরুতে ধারাবাহিক ছিলেন না। তবে পরের দিকে নিজেকে আকাশছোঁয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন হিটম্যান। সেই প্রসঙ্গেই পাঠান জাতীয় দলে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থকে নিয়ে বলেন, "এই কারণেই রোহিত মুম্বই ইন্ডিয়ানসের ক্যাপ্টেন হিসাবে এত সফল। ২০১১সালের বিশ্বকাপে বাদ পড়েছিল। তারপর আর কড়া প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতীয় দলে ফিরে এসেছে ও।"
এর আগে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পরে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে মুখ খোলেন ইরফান পাঠান। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, "দক্ষিণের ভাইয়েরা নর্থ ইন্ডিয়ায় খেলতে এলে ওদেরকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয়। আমার মনে হয়, শিক্ষা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজকেও এটা মানতে হবে।”
“ভারতীয় সমাজে আমরা এখনও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সেভাবে সোচ্চার নই। আমাদের উত্তর পূর্বের ভাই বোনদেরও এই বিষয় মোকাবিলা করতে হয়। এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে। এই অবস্থার জন্য নিজেদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার মাধ্যমে সচেতন করতে হবে।”, বলেছেন পাঠান।