টানটান থ্রিলারে হেরে বাগানের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। দিমিত্রি পেত্রাতোসের জোড়া পেনাল্টি গোলের পাল্টা এসেছিল সুনীল ছেত্রী এবং রয় কৃষ্ণের গোলে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ছিল ২-২। এর পরে অতিরিক্ত সময়ে দুই দলই গোল করতে পারেনি। শেষে টাইব্রেকারে ম্যাচের ফয়সালা করে দেয় বিশাল কাইথের ক্ষিপ্রতা।
তবে ফাইনাল ম্যাচেও রেফারি বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় ফুটবলকে। কিয়ান নাসিরিকে বক্সের বাইরে ফাউল করা হলেও পেনাল্টি কীভাবে হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বেঙ্গালুরু কর্ণধার পার্থ জিন্দাল ম্যাচের পরেই রেফারিকে দুষে ভার সিস্টেম চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোটি কোটিতে ভাসল ATK মোহনবাগান! পুরস্কার পেলেন একের পর এক বাগান তারকা
রেফারি নিয়ে সেই একই সুর বেঙ্গালুরু বস সাইমন গ্রেসনের গলায়। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গ্রেসন যা জানিয়ে গেলেন-
গোটা সিজনের পারফরম্যান্স: "মরশুম দারুণ কঠিন ছিল। ফুটবলার সহ সকলে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে এতদূর পৌঁছেছে। এবং ফাইনাল হেরেছে পেনাল্টিতে। ছেলেদের বলেছি, নিজেদের খেলায় ওঁরা গর্ববোধ করতে পারে। ওঁরা যা খেলেছে তাঁর জন্য আমিও গর্বিত।"
"চার মাস আগে আমাদের কেউই পাত্তা দেয়নি। এমনকি আমাদের অনেক সমর্থকও হয়ত ভাবতে পারেননি আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছে যাব। তবে আমরা সকলকে ভুল প্রমাণ করতে পেরেছি। স্রেফ পেনাল্টিতে ম্যাজিকটাই যা হল না।"
আরও পড়ুন: ATKMB কে পেনাল্টি উপহার দিয়ে কি চ্যাম্পিয়ন করা হল! রেফারিকে বীভৎস তোপ বেঙ্গালুরু মালিক জিন্দালের
রেফারিং: "আমরা ম্যাচ দারুণভাবে শুরু করেছিলাম। ম্যাচে আমরাই প্রতিপক্ষের তুলনায় এগিয়ে ছিলাম। তবে প্রীতম কোটাল আমাদের রয়কে ফাউল করার পরে আমাদের মনে হয়েছে পেনাল্টি পাওনা ছিল। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলা ভীষণই মুশকিল। আশা করি ভারতীয় রেফারিরা আগামীদিনে আরও উন্নতি করবেন।"
ইনজুরি: "শিবাকে হারানো বড় ধাক্কা। গোটা সিজন ধরেই দুর্ধর্ষ খেলেছে ও। ওঁকে ম্যাচের শুরুতে হারানো বড় ক্ষতি। ফাইনালে খেলার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিল ও। তবে এটা এমন একটা রাত যেখানে পরিকল্পনামাফিক কোনওকিছু হল না।"