স্পেনে কদর্য আক্রমণের মুখে পড়লেন লিওনেল মেসি। যাতে ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসছে। উত্তাল স্পেন। বার্সেলোনার হয়ে কেরিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন মেসি। সেই বার্সেলোনার আইনি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রোমান গোমেজ পান্তির মেসেজ ফাঁস করেছে স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যম 'স্পোর্টস'। যেখানে রোমান মেসিকে 'বেঁটে', 'নর্দমার ইঁদুর' বলে উল্লেখ করেছেন।
ফাঁস হয়ে যাওয়া সেই মেসেজ প্রকাশ করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে 'এল পেরিওডিকো'। বার্সেলোনার এক নিজস্ব হোয়াটসআপ গ্রুপ ছিল। যেখানে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালাতেন আইনি বিভাগের প্রাক্তন হেড রোমান গোমেজ পান্তি, প্রাক্তন বার্সা সভাপতি জোসেফ বার্তামিউ, প্রাক্তন জেনারেল ডিরেক্টর অস্কার গ্রাউ, অর্থ বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর পানচো শ্রোডার এবং স্ট্র্যাটেজি এবং ইনোভেশন বিভাগের ডিরেক্টর হ্যাভিয়ের সবরিনো।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর পাঙ্গা নিতে সৌদির ক্লাবে সই করতে পারেন মেসি, বিরাট আপডেটে তোলপাড় বিশ্ব
বার্তামিউ বরাবর মেসিকে পছন্দ করতেন। সেই কারণেই বার্সার প্রাক্তন সভাপতির ওপর হোয়াটসআপ গ্রুপে চড়াও হন পান্তি। যেখানে তিনি মেসিকে একের পর এক কদর্য আক্রমণে ভরিয়ে দিয়েছেন।
মেসিতে বিরক্ত হয়ে পানতি নাকি সেই গ্রুপে লিখেছেন, "বারতো (বার্তামিউ) তুমি এই নর্দমার ইঁদুরটার জন্য এত ভালো হয়ো না। ক্লাব ওঁর জন্য সবকিছু করেছে। আর ও ক্লাবের প্লেয়ার সই থেকে, ট্রান্সফার, সই পুনর্নবীকরণ, স্পনসর সব বিষয়ে নাক গলিয়েছে।"
জর্দি আলবা এবং সুয়ারেজের চুক্তি পুনর্নবীকরন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি নাকি লিখেছেন, "আমি হলে এরকম করতাম না। তবে বেতন কমিয়ে দিতাম। তোমাকে পিন্টোকে ধরতে হবে, সুয়ারেজের রিনিউয়াল, জর্দি আলবা এবং আনসু ফাতির রিনিউয়ালের কমিশন ধরতে হবে।"
আরও পড়ুন: বিতর্কের জন্যই ক্যাপ্টেন করা হবে না এমবাপেকে! বড়সড় বোমা ফাটালেন ফ্রান্সের তারকা
"সবথেকে বড় কথা ওই হরমনঘটিত বামুনটা (মেসি) যেভাবে ক্লাবের কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেল এবং খারাপ আচরণ করেছে, তাতে সকলেই ভুক্তভোগী।"
"যখন অতিমারী হয় তোমার ফোনে তো মেসেজ ঢোকে, 'সকলের বেতন কমিয়ে দাও তবে আমার আর সুয়ারেজের বেতনে যেন হাত না পড়ে।'
আরও পড়ুন: রেগে যেতে পারেন এমবাপে! ঝামেলা এড়াতে মেসিকে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নামতে দিল না PSG
পানতির এই সমস্ত বিষ্ফোরক বক্তব্যের সঙ্গে নাকি সহমত হয়ে মেসেজও করেন গ্রাউ। বার্তামিউয়ের জবাব ছিল, "তোমার সঙ্গে অনেক বিষয়েই সহমত। তবে বার্সেলোনা সবসময়ই আমার অগ্রাধিকার। এরকম আর্টিকেল ক্লাবের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে।" পরে বার্তামিউ স্বীকার করেন পানতির অভিযোগ অনেকাংশেই সত্যি। "অনেকক্ষেত্রেই আমাদের মেসির কথা শুনতে হত। তবে সবসময় নয়। তবে অতিমারীর চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়টা মজা করে বলা হয়েছিল।" তিনি জানিয়েছেন, ক্লাবের বাজেটের ১৫ শতাংশই মেসিকে বেতন দিতে খরচ হত। শেষমেশ ক্লাবের খরচে লাগাম টানতে মেসির বেতনে স্যালারি-ক্যাপ লাগানো হয়। যাতে মেসির ক্লাব থেকে প্রস্থান অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।