ইডেনে কর্ণাটককে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলা তেরো বছর পর রঞ্জি ফাইনালে ওঠার দিনই আরেক সুখবর। সৌরাষ্ট্র বা গুজরাট, ফাইনালে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, বাংলার স্কোয়াডে থাকছেন দেশের সেরা উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। সদ্য শেষ-হওয়া নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে প্রথম এগারোয় জায়গা পাননি ঋদ্ধি। কিপারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। কিউই সফর শেষে দেশে ফিরছে ভারত। শহরে ফিরেই বাংলা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ঋদ্ধি, শুরু করবেন আগামি ৯ মার্চ থেকে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের প্রস্তুতি। দলে ঢুকবেন সম্ভবত অফ ফর্মে থাকা অভিষেক রমনের জায়গায়।
ঋদ্ধিমান শেষ বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলেছিলেন ২০১৭-১৮ মরশুমে। চারটে ম্যাচে ব্যাটিং গড় ছিল ৩৮.৩৩। ফাইনালে ঋদ্ধি উইকেটের পিছনে দাঁড়াবেন, না কি শ্রীবৎস গোস্বামীই কিপিং করবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারেন ঋদ্ধি।
ফাইনালে উঠলে কী হবে, বাংলার ব্যাটিং দুশ্চিন্তায় রেখেছে সিএবি কর্তাদের। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অনুষ্টুপ মজুমদার এবং অলরাউন্ডার শাহবাজ আমেদ ছাড়া কেউই রান পাননি বিশেষ। এই অবস্থায় ঋদ্ধির অন্তর্ভুক্তি যে টিমের ব্যাটিংকে নির্ভরতা দেবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
ফাইনালের টিম আজ ঘোষণা করেছে বাংলা। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ১৬ জনের যে স্কোয়াড ছিল, সেখান থেকে বাদ পড়েছেন চোটের কবলে পড়া কৌশিক ঘোষ এবং গুলাম মুস্তাফা। যাঁদের পরিবর্তে ঋদ্ধিমান ছাড়া ঢুকেছেন নবাগত সুদীপ ঘরামি।
তিরিশ বছর আগে, সেই ১৯৯০ সালে সম্বরণ ব্যানার্জির নেতৃত্বে শেষবার রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল বাংলা। এবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশায় বুক বাঁধছেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। ঋদ্ধিমানের টিমে ঢোকায় সেই আশা আরও জোরালো হল।