বুধবার বিকালে ইডেন গার্ডেন্সের মিডিয়া রুমে একদম খোশ মেজাজে পাওয়া গেল ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহাকে। টিম ইন্ডিয়ার এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্য়াটসম্য়ানকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ছিল হাজারো প্রশ্ন। মূলত গোলাপি বলকে ঘিরেই।
ঋদ্ধিমান সাফ জানিয়ে দিলেন এই বলে নিয়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা। পাশাপাশি তাঁর রাজ্য় ও জাতীয় দলের সতীর্থ মহম্মদ শামি এই বলে কত'টা ভয়ঙ্কর হবে তিনি জানিয়ে দিলেন। ঋদ্ধি বলছেন, "আমাদের পেসারদের (শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব) কাছে গোলাপি বলটা কোনও ফ্য়াক্টর নয়। বিশেষত শামি যে কোনও উইকেট যে কোনও বলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। ওর গতির সঙ্গেই রয়েছে রিভার্স সুইং।" শামি এও জানিয়ে দিলেন যে, শামি-ইশান্তরা যে ফর্মে রয়েছেন সেখানে বলের রঙ কোনও প্রভাব ফেলবে না।"
আরও পড়ুন-‘ক’টা লাগবে বলুন? ৫০-এর টা ১,০০০ টাকা নেব’
শামিও কিন্তু বলছেন যে, গোধুলিবেলায় খেলাটা সমস্য়ার। চ্য়ালেঞ্জটা ব্য়াটসম্য়ানদেরই। বঙ্গজ কিপারের এ প্রসঙ্গে সংযোজন, "বলের রঙটা আলাদা। এটাকে তৈরি করা হয় অন্য়ভাবে। খেলার সময়েরও পরিবর্তন ঘটে। গোধুলি বেলায় বল পিক করাটা একটু চাপের। পেসারদের বিষয়টা সাহায্য় করতে পারে। কিন্তু ব্য়াটসম্য়ানদের কাছে ভীষণ চ্য়ালেঞ্জিং।"
আরও পড়ুন-টি২০-র মতো পরিবেশ থাকবে ইডেনে, বলছেন ভেত্তোরি
শামি এও বলছেন যে, সমস্য়া শুধু ব্যাটসম্য়ানদেরই হবে না, উইকেটকিপার ও স্লিপ কর্ডনকেও ভোগাতে পারে। তিনি বলছেন, "সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা কালো ব্ল্য়াকগ্রাউন্ড পাই। এমনকী বলটা পুরনো হয়ে গেলেও অনুভূতিটা একই থাকে। কিন্তু এখানে আমদের দেখতে হবে ব্য়াকড্রপ কী থাকে! পরিস্কার না হলে উইকেটকিপারদের কাছে বিষয়টা চ্য়ালেঞ্জিং। আমি স্লিপ ফিল্ডারদের আশেপাশে দাঁড়াই। ওদেরকেও সেই একই চ্য়ালেঞ্জ নিতে হবে। কিন্তু যে কোনও পরিবেশেই খেলতে হবে। এভাবেই এগিয়ে যেতে পারব।"