New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/06/BAN-NEP.jpg)
BAN vs NEP controversy: বড় বিতর্ক বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচে (টুইটার)
Bangladesh vs Nepal controversy: সেই ঘটনা অবশ্য ম্যাচে বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ সন্দীপ লামিছানে পরের বলেই বোল্ড করে দেন তানজিমকে। বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর ভাবা হয় নেপাল জয় দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করবে। তবে তা হয়নি।
BAN vs NEP controversy: বড় বিতর্ক বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচে (টুইটার)
DRS controversy during BAN vs NEP: বাংলাদেশ সুপার ৮-এ পৌঁছে গিয়েছে। রুদ্ধশ্বাসভাবে। সোমবার হালকা হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সুযোগ ছিল নেদারল্যান্ডসের। বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় পর নেদারল্যান্ডস নড়েচড়ে বসেছিল। তবে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাহাড়ি দেশটি।
বাংলাদেশ জিতে যাওয়ায় সরাসরি শেষ আটে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই জোড়া বিতর্কে জড়াল বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব সরাসরি বল করার পর তেড়ে মারতে গেলেন নেপালি ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেলকে। সেই ঘটনার জল বেশিদূর গড়ায়নি। তবে সেই ঘটনার আগেও গনগনে বিতর্ক তাড়া করেছিল বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সময়।
কী হয়েছিল? বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তানজিম তখন ব্যাট করছিলেন জাকের আলির সঙ্গে। সেই সময়েই দুই বাংলাদেশি ব্যাটারকে দেখা যায় ডিআরএস নেওয়ার আগে ড্রেসিংরুমের সাহায্য প্রার্থনা করতে।
১৪তম ওভারে তানজিমকে লেগ বিফোর করে দেন সন্দীপ লামিছানে। আম্পায়ার নেপালি স্পিনারের আবেদনে সাড়াও দিয়ে দেন। তানজিম আউট হয়ে ফিরেই যাচ্ছিলেন। তবে সেই সময়েই নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা জাকের আলি তানজিমকে দাঁড়াতে বলে রিভিউয়ের আবেদন করতে বলেন। কারণ তাঁকে ড্রেসিংরুম থেকে রিভিউ নেওয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছিল।
When Tanzim was out on LBW, Bangladeshi player the non-striker Jaker went to the dressing room to ask for assistance during the DRS call.
How is @ICC able to permit this? Not even the umpire knows about this.even after the allotted time has passed,the third umpire is still used pic.twitter.com/wQXbRzJn5V— マ ๏Le𝕏乛 (@VK50th) June 17, 2024
বিতর্ক সেখানেই শেষ নয়। সেই সময় ডিআরএস নেওয়ার জন্য ১৫ সেকেন্ডের সময়সীমাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আম্পায়ার সেই আবেদন মঞ্জুর করে তা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। হক আই-য়ে দেখা যায় বলের লাইন স্ট্যাম্প মিস করছে। আউটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বেঁচে যান তানজিম সাকিব।
সেই ঘটনা অবশ্য ম্যাচে বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ সন্দীপ লামিছানে পরের বলেই বোল্ড করে দেন তানজিমকে। বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর ভাবা হয় নেপাল জয় দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করবে। তবে তা হয়নি।
বল হাতে দুরন্ত হয়ে ওঠেন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তানজিম সাকিব। ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন তিনি। তানজিমের বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করে বাংলাদেশও টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর ডিফেন্ড করার কীর্তি অর্জন করে যায়।
যাইহোক, আইসিসির নিয়মে স্পষ্ট বলা রয়েছে। মাঠের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই ড্রেসিংরুমের সাহায্য নেওয়া যাবে না। "যদি অনফিল্ড আম্পায়ার মনে করেন দলের ক্যাপ্টেন অথবা ব্যাটার মাঠের মধ্যে কোনও সতীর্থের সাহায্য ব্যতীত বাইরের থেকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে নির্দেশ পেয়েছেন রিভিউ নেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্ত নাকচ করার পুর্ণ অধিকার রয়েছে।"
আইসিসির নিয়ম-ই শুধু নয়, শৃঙ্খলারও পরিপন্থী এই ঘটনা। মাঠের মধ্যে কোনও প্লেয়ারের সাহায্য ব্যতীত ড্রেসিংরুমের ইঙ্গিতে রিভিউ নিয়েছেন ব্যাটাররা, এই ঘটনা প্রমাণিত হলে আইসিসির তরফে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন তানজিম সাকিব, জাকের আলি দুজনেই। যদিও আইসিসি এখনও এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য জানায়নি।
সুপার এইট-এ বাংলাদেশ পৌঁছল জোড়া বিতর্ক সঙ্গে নিয়ে।