Advertisment

মঙ্গলে ইতিহাস তৈরি ৪ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের! ভিন গ্রহে উড়বে পৃথিবীর হেলিকপ্টার

‘৭ মিনিটের আতঙ্ক’ অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করল নাসার মার্স রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nsas, mars, mars rover, mars lander

বহু দশকের স্বপ্ন ও অপেক্ষার অবসান ঘটল। যে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা ছিল গোটা বিশ্বের বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় রাত দেড়টা থেকে দু’টো নাগাদ লাল গ্রহে পা দিল নাসার মহাকাশযান। মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান তল্লাশি করে দেখতে সর্বাধুনিক ল্যান্ডার ও রোভার ‘পারসিভের‌্যান্স’ মাটি ছুঁয়েছে লাল গ্রহের। মহাকাশ ইতিহাসে যা রেকর্ড।

Advertisment

শুধু তাই নয়, এই ল্যান্ডার থেকে মঙ্গলের আকাশে ওড়ানো হবে হেলিকপ্টার। যার নাম- ‘ইনজেনুইটি’। আকাশ থেকে মঙ্গলের আরও বড় এলাকাজুড়ে নজরদারি চালাবে এই হেলিকপ্টারটি। ‘৭ মিনিটের আতঙ্ক’ অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করল নাসার মার্স রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। নাসার এই অভিযানে অবদান রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীদের।

৪ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতের মধ্যে দু’জন বাঙালি। তাঁদের মধ্যে স্বাতী মোহন মঙ্গলযানের অবতরণের সময় উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। বাঙালিদের মধ্যে রয়েছেন মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক অনুভব দত্ত। এছাড়াও রয়েছেন সৌম্য দত্ত। যিনি একটি দৈত্যাকার প্যারাশুট নির্মাণ প্রকল্পের অন্যতম কারিগর তিনি। ওই প্যারাশুটে চেপেই মঙ্গলের বুকে নামে নাসার ‘মার্স ২০২০ রোভার’ পারসিভের‌্যান্স আর ল্যান্ডার।

নাসা সূত্রে খবর, লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে ‘পারসিভের‍্যান্স’। সেইসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করবে। ৪৩টি টেস্ট টিউবে তা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১২ সালে মঙ্গলের লাল মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে ‘কিউরিওসিটি রোভার’। ২০১৮ সালে মঙ্গলের বুকে নামে নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’। তবে এবার লাল গ্রহে সভ্যতার গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে পৃথিবী। অপেক্ষা সেটাই।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

NASA Life on Mars
Advertisment