করোনাভাইরাস ঠেকাতে গোমূত্র বিক্রি করে বিপাকে বাংলার এক ব্য়ক্তি। গোমূত্র বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ডানকুনির শেখ মাবুদ আলিকে। সোমবার রাতে ওই ব্যক্তিকে ডানকুনি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ ও ১২০ বি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর। এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এদিন মাবুদ দাবি করেন, নিছক মজা করে ভিডিও বানানোর জন্যই গোমূত্রের পসরা সাজিয়েছিলেন। আদৌ গোমূত্র ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আদতে বাতাসার জল ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির বেনজির কীর্তি, করোনা রুখতে গোমাতা পুজো-গোমূত্র পান
উল্লেখ্য, মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে গোবর ও গোমূত্রের দোকান খোলেন ডানকুনির শেখ মাবুদ আলি। করোনা আতঙ্কে মাবুদের দোকানে ভিড়ও হয়। মারণ ভাইরাস যাতে শরীরে ছুঁতে না পারে, সেজন্য মাবুদের দোকান থেকে গোমূত্র কিনে তা পান করেছেন অনেকে।মাবুদের বাড়িতে দুটো গরু রয়েছে। হুগলির ডানকুনিতে দিল্লি রোডের ওপর একটি দোকানের সামনে টেবিল পেতে বসে পড়েছেন মাবুদ। চলছে গোবর, গোমূত্র বিক্রি। রীতিমতো পেশাদারি ভঙ্গিতে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন মাবুদ। তাঁর দোকানে গাইয়ের মূত্রের দাম ৪০০ টাকা প্রতি লিটার, বকনার মূত্রের দাম ৫০০ টাকা প্রতি লিটার। গোবর ৫০০ টাকা কেজি। জার্সি গরুর মূত্রের দাম লিটার প্রতি ৩০০ টাকা। জার্সি গরুর গোবরের দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। তবে দাম নিয়ে চাপাচাপি নেই, কারও কেনার আগ্রহ দেখালে ৩০০ টাকার গোমূত্র ২০০ টাকাতেও মিলছে।
এদিকে, মারণ ভাইরাসের কবল থেকে রেহাই পেতে এ রাজ্যে গোমাতার পুজোর পাশাপাশি গোমূত্র পান কর্মসূচি পালন করল গেরুয়াবাহিনী। রায়গঞ্জ শহরের গোশালা এলাকায় এহেন কর্মসূচি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আদৌ কি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোমূত্র মহৌষধ? যদিও চিকিৎসকদের দাবি, ‘এটা বিজ্ঞানসম্মত নয়। কেউ গোমূত্র পান করার কথা বললে তা বিশ্বাস করার কোনও মানে হয় না"।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন