গতবছর ডিসেম্বর মাসে কম্বল বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এরপরই বিজেপি নেতা ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই সূত্রেই শনিবার নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা দফতর।
শনিবার রাতেই পুলিশের ঘেরাটোপে কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয় ধৃত জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। সেই সময় বিমানবন্দর চত্বরে ছিলেন তাঁর মেয়ে ও ঘনিষ্ঠরা। প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যে কোনওক্রমে জিতেন্দ্রকে গাড়িতে তুলে রবিবার আসানসোলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে ছিল দলের কর্মী, সমর্থকদের ভিড়।
এই সময়ই জিতেন্দ্র সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্য বলেন, 'তৃণমূল বা ওদের রাজ্য সরকার শেষ কথা বলবে না। পুলিশও শেষ কথা নয়। ২০২৪ সালে আসানসোলের মানুষ সব জবাব দিয়ে দেবে।'
বেলা বাড়তে আসানসোলের বিজেপি নেতাকে থানা থেকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত খুন সহ নানা অভিযোগে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। তবে, এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেছেন জিতেন্দ্র। উভয় তরফের সওয়াল শেষে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।