এ এক অবাক কন্যে! একরত্তির তাক লাগানো প্রতিভা করে ফেলেছে বিশ্বজয়। ছোট্ট মেয়েটির নজরকাড়া কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘির রাধাকান্তপুরের বিষ্ময় বালিকার নাম মনোনীত হয়েছে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস এবং ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসেও।
বয়স সবে মাত্র ২ বছর ৭ মাস। এরই মধ্যে রায়দিঘির রাধাকান্তপুরের সোহিত্রী মণ্ডল গড়গড়িয়ে এক লপ্তে বলে ফেলতে পারে দু'শো থেক আড়াইশো লাইনের কবিতা। বড়-বড় কবিতা, মণীষীদের নাম তাঁর ঠোঁটে ঘোরে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য-সহ অন্য কবিদের কবিতা তাঁর ঠোঁটস্থ। একটানা ৩৫১টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলেছে রায়দিঘির বিষ্ময় কন্যা সোহিত্রী মণ্ডল। ছোট্ট সোহিত্রীর সাড়া জাগানো এই কীর্তিকে কুর্নিশ আট থেকে আশির।
একফোঁটা বয়সেই বড় বড় ইংরেজি বাক্য থেকে অক্ষর, সবই বলে ফেলতে পারে সে। আলাদা আলাদা মনীষীর ছবি দেখে সম্পূর্ণ নামও বলতে পারে সোহিত্রী। জীব-জন্তু ফল-ফুলের নাম তো বটেই, এমনকী ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাও বাংলা ও ইংরেজিতে বড়দের মতো করেই বলতে পারে সোহিত্রী।
ছোট্ট সোহিত্রীর নজরকাড়া এই কীর্তিই তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। অভূতপূর্ব এই কীর্তির জন্যই এই ছোট্ট বয়সে বহু পুরস্কার ঝুলিতে পুরে ফেলেছে সোহিত্রী। সোহিত্রীর বাবা ও মা দু'জনেই স্কুলের শিক্ষক। ছোট থেকেই তাঁরা লক্ষ্য করতেন যে তাঁদের বিভিন্ন কথাবার্তা হবহু বলে দিচ্ছে তাঁদের আদরের মেয়ে।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’, ছিলেন মমতাও, তেলেবেগুনে জ্বলে যা নয় তাই বললেন দিলীপ!
এরপর কোনও কবিতা বা আবৃত্তি শুনলে তাও পুরোপুরি মনে রেখে দিতে পারছে সোহিত্রী। ছোট্ট বয়সে সোহিত্রীর এই প্রতিভা দেখে শুরুতে তার বাবা-মাও হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। মেয়ের এই প্রতিভার কদর করেই এরপর তার বাবা ধনপতি মণ্ডল ও মা শর্মিলা মণ্ডল মেয়েকে নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। শুরু হয় একের পর এক রেকর্ডস অর্জনের চেষ্টা। বর্তমানে সোহিত্রীর বাবা, মায়ের মত সোহিত্রীকে নিয়ে বিষ্ময়ে হতবাক এলাকাবাসীও।
আরও পড়ুন- মারকাটারি মেজাজে শীতের কামব্যাক শীঘ্রই? কী বলছে হাওয়া অফিস?