Ramnavami procession and violence: পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ভোটের আবহে বারবার এমনই অভিযোগ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই ফের একটা রামনবমী চলে এসেছে। ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিন অন্যবারের মতই বিভিন্ন জায়গায় মিছিলের আয়োজন করতে চলেছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তার আগে ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ফলে, রামনবমীতে হিংসা ছড়ানো রুখতে প্রশাসন রীতিমতো সতর্ক।
রামনবমীকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা অবশ্য মিথ্যে নয়। গত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। গতবছরই যেমন রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়া। বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, বারবার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর এসেছে নৈহাটির হাজিনগর, হাওড়ার ধূলাগড়, হুগলির রিষড়া, ভদ্রেশ্বর, ডালখোলা থেকে।
আর, এরপরই বারবার প্রশ্ন উঠে এসেছে এই সব সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য দায়ী কে? গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, দায়ী রাজ্য সরকারের তোষণ। পালটা, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, এই সব উত্তেজনার পিছনে আসলে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের উসকানি। দুই দলের সঙ্গে এই সব অভিযোগে তাল মিলিয়েছে তাদের সরকার এবং প্রশাসন। তৃণমূলের ক্ষেত্রে তাল মিলিয়েছে রাজ্য সরকার। বিজেপির সঙ্গে মিলিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আর, এই সব হিংসার সঙ্গেই উঠে এসেছে পুরোনো সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনার খবর। যেমন, উঠে এসেছে দেগঙ্গায় হানাহানির খবর। মুর্শিদাবাদ, মালদায়, উত্তরবঙ্গে হানাহানির খবর। যার সঙ্গে হাওড়ার শিবপুরের হানাহানি, ডালখোলার ঘটনা এবং অন্যান্য এলাকার ঘটনার উত্তেজনাকে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে দেওয়া হয়েছে। আর, এসব হানাহানি নিয়ে আদালতে টানাপোড়েন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট তলব, এনআইএ তদন্ত পর্যন্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘১৭ তারিখ ওদের দাঙ্গা করার দিন’, রামনবমীতে ভয়ঙ্কর আশঙ্কার তুলকালাম ইঙ্গিত মমতার!
যে হানাহানির সাম্প্রতিকতম নজির তৈরি হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চে। রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল শিবপুরের জিটি রোড চত্বর। পুলিশের গাড়ি, বাস, টোটো, অটো, দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় আবার রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে থানার সামনে থাকা গাড়ি এবং বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার দিন দুয়েক বাদে রামনবমীর মিছিল ঘিরে রিষড়ায় ব্যাপক অশান্তি হয়। যেখানে ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন- কিছুই বাদ যায়নি। আর, প্রতিটি জায়গাতেই কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন ধরে ব্যাপক অশান্তি চলেছে। আরও বেশ কিছুদিন বজায় ছিল চাপা উত্তেজনা।