করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে একটু স্বাভাবিক হওয়ায় অনেকেরই মনটা উড়ু উড়ু করতেই পারে৷ আর তাতেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে অনেক দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ বঙ্গোপসাগরের কাছে মাতলা নদীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যালিডে দ্বীপ ঘরের কাছেই সৌন্দর্য উপভোগ করার এক দারুন জায়গা৷ এখানে বন্যপ্রাণই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। সম্প্রতি সোশ্যাল এক মিডিয়ায় গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য যেখানে দেখা গিয়েছে করোনা পরবর্তীতে ব্যাগ-প্যাক করার সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সুন্দরবনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।
Advertisment
সুন্দরবনের বিখ্যাত তিনটি অভয়ারণ্যের মধ্যে এই দ্বীপ অন্যতম৷ করোনা ভাইরাসের প্রভাব কম হতেই পর্যটকদের আনাগোনা ফের বাড়বে বলেই আশা করা যায়। এখানে নিরিবিলিতে বাঘ, হরিণ, কুমীর ও পাখি দেখার মজাই অন্যরকম। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। বঙ্গোপসাগরের গা ঘেঁষা মাতলা নদীর বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যানগ্রোভ অরণ্য়ের দ্বীপটি প্রায় ৬ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। ১৯৭৬ সালে হ্যালিডে দ্বীপটি অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ তারপর থেকেই এটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জঙ্গলকে আরও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বিধানসভায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক গুচ্ছ পরিকল্পনা নিতে চলেছে। সেই পরিকল্পনাতে যেমন রয়েছে পরিবেশ বান্ধব হোটেল তেমনই রয়েছে সবুজের মোড়কে ঘেরা বিনোদনের ক্ষেত্র প্রসারিত করা। বেশিরভাগ মানুষ শর্ট ট্রিপ হসাবে সুন্দরবনকে বেছে নেন, তার অন্যতম প্রধান কারণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বাঘ ছাড়াও, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে প্রচুর প্রজাতি বাস করে, যার মধ্যে রয়েছে ডলফিন, কুমির, গন্ডার, বন্য বিড়াল, ইত্যাদি। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝখানের নিরিবিলি পথে যেতে গা ছমছম করে উঠতে পারে। তবে ওয়াচ টাওয়ার থেকে হরিণ, বন্য শূকর এবং কুমীরের নাড়াচাড়া দেখাটা দারুণ ব্যাপার৷ সংখ্যায় কম হলেও কখনও সখনও এই দ্বীপে দেখা মেলে তার। কখনও মাতলা নদীতে নেমে স্নান ও জলপানও করে থাকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বুড়িরদাবরি ওয়াচ টাওয়ার থেকেই দেখতে পাওয়া যেতেই পারে বাঘ। অনেকে মাতলায় নৌকা বিহারে বেরিয়ে বাংলার বাঘেরও দেখা পেয়ে যান।