Bollywood: প্রয়াত অভিনেতা-চলচ্চিত্র নির্মাতা সতীশ কৌশিক প্রযোজক বনি কাপুরের মিস্টার ইন্ডিয়া (১৯৮৭) ছবিতে ক্যালেন্ডারের ভূমিকায় অভিনয় করে লাইমলাইটে এসেছিলেন। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের সময় অভিনয় তাঁর আবেগ ছিল, তিনি বনি কাপুরের রূপ কি রানী চোরোঁ কা রাজা (১৯৯৩) দিয়ে পরিচালনায় মুখ থুবড়ে পড়েন। রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা ছিল বনির আবেগের প্রকল্প, কারণ তিনি এই সিনেমার মাধ্যমে মিস্টার ইন্ডিয়ার যাদু পুনরায় তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
এমনকি বনি মিস্টার ইন্ডিয়ার কাস্ট এবং ক্রুদেরও ধরে রেখেছিলেন এই ছবির জন্য। মিস্টার ইন্ডিয়ার মতো এই ছবিতেও অভিনয় করার কথা ছিল শেখর কাপুর এবং মিস্টার ইন্ডিয়ার প্রধান অভিনেতা অনিল কাপুর ও শ্রীদেবীর। অন্য সব কিছু একই থাকলেও, শেখর হলিউডের প্রকল্পগুলি অনুসরণ করার জন্য এই সিনেমার কাজ মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এর ফলে শেখরের সহকারী পরিচালক সতীশ কৌশিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছবিটি। বনি কাপুর কেবল ছবিটি দিয়েই নয়, তার অর্থ দিয়েও সতীশকে বিশ্বাস করেছিলেন। রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা আসলে তার সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র ছিল, যার বাজেট ছিল ১০ কোটি। যদিও বা রিলিজের পর ছবিটি চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছিল, যার ফলে, বনি কাপুর ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন - Uttam Kumar: 'কই আমার হিরো?' মহানায়কের ছেলের বিয়েতে গিয়ে কী বলেছিলেন সুচিত্রা?
সতীশেরও অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। সেই সময় সদ্য বিবাহিত, তার প্রথম পরিচালিত বক্স অফিসে ফ্লপ হওয়ার পরে নাকি তাঁর আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি তখন নতুন বিয়ে করেছি, এমনকি আমার স্ত্রীও বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমি যদি জানালা দিয়ে লাফ দিতাম তাহলে কিছুই হতো না, কারণ আমি দোতলায় থাকতাম। নিচতলায় খাবার টেবিল সাজানো ছিল। আমি যদি ঝাঁপ দিতাম তবে আমি ঢ্যাঁড়শের সব্জির মধ্যে গিয়ে পড়তাম। এবং লোকেরা এটি নিয়েও মজা করত।"
সতীশ কৌশিক বনি কাপুরের সামনে রীতিমতো হাহাকার করতেন। তিনি বলেন, 'ফ্লপ ছোট্ট একটি শব্দ। এটা একটা বিপর্যয় ছিল। আমার মাথা খারাপ হয়ে গেল। ছবিটির একটি বড় প্রচার হয়েছিল, তবে সব ফ্লপ হয়েছিল। ছবিটি কেবল প্রিমিয়ারে কাজ করেছিল, যখন ছবিটির নবম প্রিমিয়ার সংগঠিত হয়েছিল তখন কেবল আমি, অনিল কাপুর এবং বনি কাপুর বাকি ছিলাম।
আরও পড়ুন - Bollywood-Tirupati: মৃত্যুমুখ থেকে ফিরল ছেলে, ধর্মের পরোয়া না করেই তিরুপতিতে চুল দান অভিনেতার রাশিয়ান স্ত্রীর…
বনি কীভাবে ছবিটি ফ্লপ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলেন সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সতীশ বলেছিলেন, "তো, আমরা হায়দরাবাদে ছবির প্রিমিয়ারের জন্য যাচ্ছিলাম এবং আমি বনিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, 'ছবির অবস্থা কী?' তিনি বললেন, 'সতীশ, সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। তারপর নীরবতা নেমে এলো। আমি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলাম। শ্রীদেবী আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বনি আমাকে বলল, 'সতীশ, কেঁদো না। আমাকে দুর্বল করে দিও না'। কী আর করার, চোখের জল মুছে প্রিমিয়ারের জন্য প্রস্তুত হলাম।"