Anjali Anand Harassment Case: স্নেহের ছলনায় যৌন হেনস্থা, বাবার মৃত্যুর পরই শিক্ষকের নোংরামির শিকার! মুখ খুললেন অভিনেত্রী

Anjali Anand Interview: মাত্র আট বছর বয়সে চরম যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর নাচের শিক্ষক নিয়মিত ঠোঁটে চুমু খেতেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক জনপ্রিয় বলি অভিনেত্রী অঞ্জলি।

Anjali Anand Interview: মাত্র আট বছর বয়সে চরম যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর নাচের শিক্ষক নিয়মিত ঠোঁটে চুমু খেতেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক জনপ্রিয় বলি অভিনেত্রী অঞ্জলি।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
বাবার মৃত্যর পরই নোংরামির শিকার!

বাবার মৃত্যর পরই নোংরামির শিকার!

Anjali Anand Abused: রূপোলি দুনিয়ার চাকচিক্যের পিছনে থাকে অভিনেত্রীদের জীবনের অনেক যন্ত্রণা। জীবনের সেইরকমই এক অজানা গল্প শেয়ার করেছেন রণবীর কাপুরের সহ অভিনেত্রী অঞ্জলি আনন্দ। 'ধাই কিলো প্রেম', 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি' সহ বেশ কিছু বলিউডি ছবিতে অঞ্জলির অভিনয় দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বড় পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি 'খতরো কে খিলাড়ি', 'ঝলক দিখলা জা'-র মতো রিয়্যালিটি শো-তেও অংশ নিয়েছেন অঞ্জলি। সম্প্রতি  Hauterrfly-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়েবেলার যন্ত্রণার কথা শেয়ার করেছেন। মাত্র ছ'বছর বয়সে নাচের শিক্ষক কী ভাবে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন অঞ্জলি আনন্দ।

Advertisment

তিনি বলেন, 'এমন একজন মানুষ যিনি আমাদের পরিবারের অংশ ছিলেন। তিনি আমার নাচের শিক্ষক। তখন আমি অষ্টম শ্রেনিতে পড়ি। তখন বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান। বাবার মৃত্যুর পর উনি আমাকে বলেছিলেন আমিই আজ থেকে তোমার বাবা। সেই সময় মাথার উপর থেকে আচমকা ছাদ সরে গিয়েছে। তাই আমি সেটাই বিশ্বাস করেছিলাম। ধীরে ধীরে আমার থুতনিতে, তারপর ঠোঁটে চুমু খাওয়া শুরু করেন। আমাকে বোঝাতেন, বাবার মতোই তিনি স্নেহ করছেন। তখন এতটাই ছোট যে বাবা-মেয়ের সম্পর্কটা ঠিক কী রকম হয় সেটাই বুঝতাম না। তাই ওঁর কথাগুলোই অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম। আমার পছন্দের সব জিনিস এনে দিতেন। যে চকোলেটের উপর হাত রেখেছি সেটাই আমার হয়েছে।'

আরও পড়ুন - Indranil Sengupta-Barkha: 'বিয়েটাই নেগেটিভ ছিল..', পরকীয়ার অভিযোগ ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে, বিচ্ছেদ হতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন?

নাচের শিক্ষক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অঞ্জলি আরও যোগ করেন, 'আমার জীবনের কন্ট্রোল পুরোপুরি ওঁর হাতেই ছিল। চুল খুলে রাখার অনুমতি পর্যন্ত ছিল না। মেয়েদের পোশাক পরতে দিতেন না। পুরুষরা যাতে আমার দিকে না তাকায় সেই জন্য ওঁর পুরনো টি-শার্ট পরতে দিতেন।' বোনের বিয়ের সময় নাচের শিক্ষকের হাত থেকে অবশেষে রেহাই পান অঞ্জলি। বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তখন বুঝেছিলেন এতদিন পর্যন্ত যা হয়েছে সেটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। অ়্জলির সংযোজন, 'বোনের বিয়েতে বাবার বন্ধুর ছেলের আমার প্রতি একটা ভাললাগা তৈরি হয়। ওঁর সঙ্গে কথা বলে আমি শান্তি পেতাম।'

Advertisment

জীবনযন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে অঞ্জলি জানান, একটানা ১৪ বছর এই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। প্রথম প্রেমিকই ওই অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। অভিনেত্রীর সংযোজন, 'আট বছর বয়স থেকে ১৩-১৪ বছর পর্যন্ত আমার জীবনের চাবিকাঠি ছিল নাচের শিক্ষকের হাতে। প্রথম প্রেমিককের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দু-তিন বছর ওঁর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। বিচ্ছেদের অনেক বছর পর আমার জীবনের সেই ঘটনার কথা বলেছিলাম। কারণ আমার মধ্যে সেই সাহস ছিল না যে ওই ঘটনার কথা শেয়ার করব। সম্পর্ক ভাঙলেও আমার দমবন্ধ হওয়া পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর জন্য চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব।'

bollywood movie Bollywood News bollywood actress