বাংলার ঘরে ঘরে আজ লক্ষ্মী আরাধনা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বলে কথা। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কিন্তু তারকাদের অনেকেই এই পুজোর দিন দেদার আয়োজনে ব্যস্ত থাকেন। উত্তম কুমারের বাড়িতেও চরম ব্যস্ততা এদিন।
বাড়ির বউদের ভূমিকা দেখার মত। দেবলীনা কুমার থেকে ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়, সকলেই বেজায় ব্যস্ত। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে আয়োজন। ঠাকুর আনার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু। লক্ষ্মী বরণ থেকে পায়েস রান্না - মুখ্য ভূমিকায় দেবলীনা। বাড়ির সধবারা মিলে লক্ষ্মী বরণ করলেন। নিজে হাতে পায়েস রান্না করলেন দেবলীনা। কিন্তু শুধু তো একটা বাড়ির পুজো না, সমান হাতে তিনি সামলান বাপের বাড়ির পুজোও।
বাপের বাড়ির ঠাকুর বরণের একেবারেই অন্য নিয়ম। সেই দায়িত্বও পালন করলেন তিনি। লক্ষ্মী পুজোর দিন শ্রী বানানোর রীতি থাকে অনেক বাড়িতে। সেও নিজের হাতে বানালেন দেবলীনা। কিন্তু এবারের আয়োজনে ঠিক কী কী থাকছে? সেই বিষয়েও জানালেন দেবলীনা।
বাড়ির বৌয়ের আলাদাই দায়িত্ব। একদিনের জন্য সে পাকাপাকি গিন্নি, নিজ দায়িত্বে সামলান সবকিছুই। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে লুচি, আলুর দম এসবই হবে। এদেশীয়দের বাড়িতে অন্নভোগ হয় না। কিন্তু নিজের বাড়ির আয়োজনে পোলাও, পায়েস সবই থাকবে। দুই বাড়িতেই সমান সক্রিয় ভূমিকায় থাকেন দেবলীনা।
শঙ্খ বাজিয়ে মা কে ঘরে এনেছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সকলে। নিজের নাচের স্কুলের পুজোতে একেবারেই খামতি রাখছেন না তিনি। উত্তম কুমারের বাড়িতে এতবছরের ঐতিহ্য, তাতেও দিব্য পরম্পরা ধরে রেখেছেন সকলে।