তিনি যখন গান করেন, মানুষ-জন মন্ত্রমুগ্ধের মত সেই গান শোনেন। যখন তিনি রান্না করেন তখন তা সরাসরি তা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। হ্যাঁ, আশা ভোঁসলে শুধু একজন মহান গায়িকাই নন, তার হাতে এমন এক জাদু আছে যা তাঁর হাতের রান্না খাওয়া মানুষজন কখনও ভুলতে পারেননি। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে মহারাষ্ট্রের সাংলি গ্রামে কিংবদন্তী গায়িকার জন্ম। আজ তিনি পা দিলেন ৮৯ বছরে। তার এই দীর্ঘ জীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন ১৬ হাজারেরও বেশি গান।
আশা ভোঁসলে যেন নিজেই একটি ব্র্যান্ড। বছরের পর বছর ধরে সমৃদ্ধ করে গেছেন ভারতীয় সংগীতকে। একজন প্লেব্যাক সিঙ্গারের পাশাপাশি অভিনয়টাও গুলে খেয়েছেন তিনি। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন তাঁর আর ও এক জাদু মন্ত্রের কথা। তিনি ভাল রান্নাও করেন। জিভে জল আনা হরেক পদের রান্না করতে রীতিমত সিদ্ধহস্ত তিনি। আজ তার গানের পাশাপাশি খাবারের কথাও আপনাদের সামনে তুলে ধরা যাক।
কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলে। জীবনে অনেক উত্থান-পতন ছিল। শৈশব খুব সুখের ছিল না। একজন গায়িকা হিসাবে হিসাবে আশার পক্ষে জায়গা তৈরি করাটা খুব সহজ ছিল না, তবে আজ আশা ভোঁসলের ৮৯ তমজন্মদিনে, আসুন গান ছাড়াও তার অন্যান্য দক্ষতা সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক। গান ছাড়াও আশার রান্নার শখ রয়েছে। যদিও তা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়না ।
গায়িকা না হলে আশা রাঁধুনি হতেন
আশা ভোঁসলের সুমধুর কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ কোটি কোটি হৃদয়। তার হাতের রান্নাও কিন্তু রীতিমত জিভে জল এনে দেবে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, আশা ভোঁসলে রান্না-বান্না খুবই পছন্দ করেন, অনেক সেলিব্রিটি তার হাতে তৈরি কষা মাংস এবং বিরিয়ানি হাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। একটি সাক্ষাত্কারে, আশা নিজেই বলেছিলেন যে তিনি যদি গায়িকা না হতেন তবে তিনি নিশ্চিত রাঁধুনি করতেন। আশা ভোঁসলে তাঁর গানের জাদুতে জিতেছেন দাদাসাহেব ফালকে, পদ্মবিভূষণের মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতেছেন, কিন্তু গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি তার রান্নার শখও বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আশা ভোঁসলে রেস্টুরেন্ট চেইনের মালকিন
জানেন কী আশা ভোঁসলে নিজের রেস্তোরাঁ রয়েছে। কিংবদন্তি গায়িকার দুবাই ও কুয়েতে 'আশাজ' নামে রেস্তোরাঁ রয়েছে। এছাড়া আবুধাবি, দোহা, বাহরাইনেও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় ভারতীয় খাবার বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়। শুধু তাই নয়, আশা নিজেই এই রেস্তোরাঁর শেফদের প্রশিক্ষণও দেন।
আরও পড়ুন: < ‘ব্যবসা করলে কি বাঙালির জাত যায়?’, ‘বৌদি ক্যান্টিন’ খুলে প্রশ্ন শুভশ্রীর >
আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে, তিনি তার জীবনে দু’বার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে হয় গণপত রাওকে, যিনি লতা মঙ্গেশকরের পিএ ছিলেন। আশা ভোঁসলের পুরো পরিবার এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিল এর পরে, তিনি বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আর ডি বর্মণকে বিয়ে করেন। তিনি এ পর্যন্ত তিনি ২০টি ভাষায় ১৬ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি স্টুডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য তার নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পেয়েছে।