তিনিই ইন্ডাস্ট্রি। তবে এই তকমাটা একদিনে আসেনি, প্রায় তিরিশ বছরের পরিশ্রম রয়েছে এর নেপথ্যে। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চাশের কোঠায় পা রেখেছেন বছর ছয়েক, কিন্তু চেহারা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। বাড়তি বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি ফিট টলিউডের বুম্বাদা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল তাঁর ফিটনেস ভিডিও।
ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে কমেন্টের বন্যা সোশাল মিডিয়ায়। টলিউডের অনেক অভিনেতাই লিখেছেন, 'প্রসেনজিৎ ইন্সপিরেসন'। প্রসঙ্গত, বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা' দিয়ে টলিউডের যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিনেতা। তারপর একে একে 'অমর সঙ্গী', 'শ্বশুড় বাড়ি জিন্দাবাদ', -এর মতো ছবির মাধ্যমেই একসময়ে টলিউডের মুখরক্ষা করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতেও কসুর করেননি নিজেকে। তাইতো পরবর্তীতে 'অটোগ্রাফ', বাইশে শ্রাবণ', 'জাতিস্মর', 'দৃষ্টিকোণে'র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন, নেটফ্লিক্সে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সৌজন্যে ‘উই ক্যান বি হিরোস’
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর গুমনামী লুক। বড়পর্দায় প্রসেনজিতকে দেখতে মুখিয়ে রয়েছে তাঁর ভক্তরা। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে তৈরি সৃজিতের এই ছবি। তবে তাঁকে নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে শিরোনাম কম হয়নি, মুকুলের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিজেপি যোগদানের তত্ত্ব থেকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়াম্যান পদ থেকে সরে যাওয়া অনেক টালমাটাল পরিস্থিতির সাক্ষী তিনি। কিন্তু তা হলেও ইন্ডাস্ট্রির বিপদে একমাত্র সবার আগে যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টলিউড তো অন্তত সে কথাই বলে।