তুনিশা শর্মার মৃত্যুর পরপরই শিজান খানকে গ্রেফতার করা হয়। অভিনেত্রীর মা দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য শিজানই দায়ী। দিন পনের আগে সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন শিজান। তবে, এও অভিযোগ উঠেছে শিজান তুনিশাকে ধর্মবদল করতেও জোর করেছিলেন।
মেয়ের শেষকৃত্যে নিজেকে সামলে রাখতে পারেন নি মা। অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। অনেক অল্পবয়সে স্বামীকে হারিয়ে তিনি মেয়েকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন। তবে সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল না। মেয়েও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তবে, শিজানের শেষ না দেখে তিনি ছাড়বেন না। নিজের চোখে শিজানকে চড় মারতে দেখেছেন, একেবারেই ভুলে যেতে পারছেন না সেই দৃশ্য।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য শিজান ভয়ঙ্কর ভাবে দায়ী। অভিনেত্রীর মা বললেন, আমার মেয়ে ওর ফোন ঘেঁটে প্রতারণার আঁচ পেয়েছিল। শিজানকে প্রশ্ন করায় আমার মেয়েকে ও চড় মারে। বিশ্বাস করুন, আমার মেয়ের কোনও রোগ ছিল না। আমি শিজানকে ছাড়ব না। আমার মেয়ে চলে গেছে, একা হয়ে গেছি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ধর্ম নিয়েও দুজনের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন < কিংবদন্তী মৃণাল সেনের জুতোয় পা গলাবেন চঞ্চল চৌধুরি, বর্ষশেষে সেরা চমক সৃজিতের >
তুনিশাকে হিজাব পড়তেও বাধ্য করেছিলেন শিজান। সেই এই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপর থেকেই অভিনেতাকে আরও দুষছেন সকলে। এদিকে, অভিনেত্রীর মায়ের বক্তব্য আমার মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় যখন পরেছিল ওকে শিজান ঘর থেকে বের করলেও অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেয় নি। এটা একধরনের খুন।
পুলিশি সুত্রে খবর, তুনিশা মৃত্যুর আগে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধরে কথা বলেছিলেন শিজানের সঙ্গে। তারপরেই তিনি এই ঘটনা ঘটান। অভিনেত্রীর ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৫০ পাতার মত ওয়াটস অ্যাপ চ্যাট। যার থেকেই পরবর্তী সব আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিনেত্রীর শেষকৃত্যে পৌঁছেছিলেন, হিন্দি সিরিয়ালের অনেক পরিচিত মুখ। কান্বার ঢিলোন থেকে শিভিন নারাং, অভনীত কউর, সিদ্ধার্থ ও অভিষেক নিগম। কাছের বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই।