Zee Bangla serial Alochhaya: এই সময়ের শিশুরা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। তাদের হাতে উঠেছে মোবাইল, তারা হোমওয়ার্ক করে গুগল ক্লাসরুম অথবা নানাবিধ শিক্ষামূলক অ্যাপে। সবকিছুর মধ্যে কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে নির্মল শৈশব। আর ক্রমশই অভিভাবকদের ইচ্ছাপূরণের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে শিশুরা। অভিভাবকত্ব এবং শিক্ষা নিয়ে নানাবিধ ইস্যু উঠে আসবে জি বাংলা-র নতুন ধারাবাহিক 'আলোছায়া'-তে এমনটাই জানালেন প্রযোজক সুশান্ত দাস।
''যাঁরা প্রোমো দেখেছেন, তাঁদের মনে হতে পারে যে এটা আর একটা সিবলিং রাইভালরির গল্প। অথবা দুই নায়িকা, এক নায়কের গল্প, কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন প্রযোজক, ''আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইছি, যেটা খুব প্রয়োজনীয় এই সময়ে দাঁড়িয়ে। একজন শিশু ঠিক কেমন তৈরি হবে, সেটা তার পেরেন্টিংয়ের উপর নির্ভর করে। এই ধারাবাহিকে আমরা দেখব কীভাবে একজন বাবা তার মেয়েকে মিথ্যে বলতে শেখায় শুধুমাত্র নিজের ইগো বজায় রাখার জন্য।''
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদী বলেই হিট শ্যামা’! রইল সাপ্তাহিক সেরা দশ তালিকা
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের সেই প্রোমোটি দেখেছেন দর্শক, যেখানে বোনকে বাঁচাতে নিজের ফার্স্ট প্রাইজটি আলো তুলে দেয় ছায়া-র হাতে। পরিবারের সবাই জানে ছায়া প্রথম হয়ে ক্লাসে উঠেছে এবং ফেল করেছে আলো। আদতে ঠিক উল্টোটাই। ছায়া-র বাবা সেটা জেনেও না জানার ভান করে এবং আলো-কে বলে চিরকাল নিজের কৃতিত্বকে ছায়া-র কৃতিত্ব বলেই চালাতে হবে তাকে।
এখানেই দর্শকের মনে পড়ে যেতে পারে আমির খান-অভিনীত ছবি 'থ্রি ইডিয়টস'-এর কথা। সেখানেও এক বড়লোক বাবা, তার ছেলের নামে ইঞ্জিনিয়র ডিগ্রি নিতে পাঠায় তার বাড়ির কাজের লোকের ছেলেকে। পুরোপুরি তেমন না হলেও 'আলোছায়া' ধারাবাহিকে প্রায় কাছাকাছি একটি ক্রাইসিস দেখতে পাবেন দর্শক। পাশাপাশি একজন বাবা কীভাবে নিজের মেয়েকে মিথ্যাভাষণের জন্য মানসিক চাপ দেয়, সেটাও থাকবে।
আরও পড়ুন: টেলিপর্দায় এল আনন্দময়ী মায়ের গল্প
''একজন শিশু মিথ্যে কথা বলতে শেখে কিন্তু মূলত তার বাবা-মাকে দেখেই। অনেক সময় এরকমও হয় যে বাবা-মায়েরা তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ছেলেমেয়েদের মিথ্যে বলতে শেখায়'', প্রযোজক সুশান্ত দাস বলেন, ''আলোছায়া'-র গল্পে দর্শক দেখবেন, বাবা তার মেয়েকে বলছে যে আমার মেয়ে পড়াশোনায় খারাপ এই কথা আমি কাউকে বলতে পারব না। তার জন্য যদি মিথ্যে মেডেল কিনে দিতে হয়, তবে তাই দেব। এই ধরনের পরিস্থিতি শিশুর মনে অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করে। তার মনে অনেক জটিলতা, অনেক নেগেটিভিটি তৈরি করে। পেরেন্টিংয়ের এই সমস্যাগুলো যে কতটা ক্ষতিকারক, সেটা আমরা দেখব এই ধারাবাহিকে।''